২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাহায্যের আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন রুনু-জোবেদারা

-

সায়েদাবাদের কাছে রেললাইনে দাঁড়িয়ে জোবেদা বেগম (৫৫) ও রুনু বেগম (৫০)। অনাহারে-অর্ধাহারে আছেন, চেহারায় এমনটাই ফুটে উঠেছে। কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন এই দুই বিধবা মহিলা কিন্তু মরণঘাতী করোনাভাইরাস তাদের সে আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত ২৬ মার্চ থেকে জোবেদা ও রুনু সায়েদাবাদে রেললাইনের কাছে একটি ঝুপড়ি ঘরে বন্দী। ক্ষুধার তাড়নায় দুই দিন ধরে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। যদি কোনো সাহায্য পাওয়া যায় সে আশায় কিন্তু সরকারি ত্রাণ তো দূরের কথা, স্থানীয় কোনো ব্যক্তির কাছ থেকেও তাদের ভাগ্যে সাহায্য জোটেনি। এভাবে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী প্রতিবন্ধী বাবুল, বিলকিস বেগম, মিন্টু মিয়া, আলী আকবর, পারভিনদের অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে। সাহায্যের আশায় তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় সাহায্য বা ত্রাণ দেয়ার খবর মিললেও তাদের অনেকেরই ভাগ্যে তা জোটেনি।
জোবেদা ও রুনুর বাড়ি ময়মনসিংহে। তারা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ নেয়ার কেউ নেই। তাই বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকায় সায়েদাবাদ এলাকায় কাগজ কুড়িয়ে যা আয় করেন, তাই দিয়ে তাদের মাসে এক হাজার টাকা ঘর ভাড়া ও পেটের ক্ষুধা মেটান। তারা বলেন, সরকারি ছুটি হওয়ার পর থেকে তারা ঘরে অবস্থান করছেন। বাইরে নামতে চাইলেও পুলিশ বাধা দেয় কিন্তু তারা আর ঘরে থাকতে পারেননি। ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তারা কোনো সাহায্য পাননি বলে জানান।
সাত বছর আগে ট্রেনে কাটাপড়ে পা হারিয়েছেন বাবুল মিয়া (৩৫)। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে সায়েদাবাদের কাছে একটি বস্তিতে ভাড়া থাকেন। এক সময় কাজ করলেও পা হারানোর পর ভিক্ষা করেই সংসার চালাচ্ছেন। বাবুল জানান, ক্ষুধার কারণে বাসায় আর থাকতে পারলেন না। রাস্তায় নামলে পুলিশ তাড়া করে। তবুও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন। দুই দিন ধরে ঘুরছেন কিন্তু কেউ কোনো সাহায্য দিচ্ছে না বলে জানান।
রিকশাচালক আলী আকবর জানান,প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সায়েদাবাদে ভাড়া থাকেন। করোনার কারণে তার আয় বন্ধ হয়ে গেছে। দুই-তিন দিন ধরে এলাকার অলিগলিতে রিকশা নিয়ে বের হচ্ছেন। কিন্তু যাত্রী পাচ্ছেন না। জানান, বাসায় যে জমানো টাকা ছিল তা শেষ হয়েছে। এখন দোকানদারও বাকিতে চাল-ডাল বিক্রি করছে না। সাহায্য পাওয়ার আশায় গতকাল রাস্তায় বের হলেও তা পাননি বলে জানান। বিলকিস বেগম জানান, স্বামী-স্ত্রী মিলে ভাঙ্গারি মালামাল কিনে তা বিক্রি করেন কিন্তু করোনার কারণে সরকারি ছুটির দিন থেকে তা বন্ধ। তিন সন্তান নিয়ে তাদের এখন সংসারে কোনো খাবার নেই বলে জানান। সাহায্যের সন্ধান করলেও তা কোথাও পাচ্ছেন না বলে জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি

সকল