১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
একান্ত সাক্ষাৎকারে পরিচালক অধ্যাপক ডা: উত্তম কুমার বড়–য়া

স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল

-

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নির্মাণ পরিকল্পনা করেন স্থপতি লুই আই কান। শুরুতে হাসপাতাল হিসেবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করলেও দীর্ঘ দিনের দাবির সুবাদে ২০০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ২০০৬ সালের ৬ মে ১০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে এর শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালের ১ জুলাই মেডিক্যাল কলেজের নাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে এই হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা: উত্তম কুমার বড়–য়া; যিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপের যুগ্ম মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি এই হাসপাতালের সেবার মান, হাসপাতালের ওপর সাধারণ রোগীদের আস্থা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান, আন্তর্জাতিক সেবার মানে পৌঁছানোর চেষ্টাসহ সর্বোপরি হাসপাতাল ঘিরে তার পরিকল্পনার কথা নয়া দিগন্তের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক মনিরুল ইসলাম রোহান।
নয়া দিগন্ত : বিদায়ী বছর কেমন ছিল?
ডা: উত্তম কুমার : বিদায়ী বছর ২০১৯ সালে অনেকগুলো বড় বড় ঘটনা ঘটেছে। যেমন পেঁয়াজ নিয়ে, রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে। তবে আমরা যেহেতু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করি সে ক্ষেত্রে বলব, এখানে সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল ডেঙ্গু। গত বছর ডেঙ্গু নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি, গত ২০ বছরের ইতিহাসেও এত বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আসেনি, এত ভয়াবহতা আমরা দেখিনি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ৬৪ জেলার মানুষই আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও এবার বেশি। শুধু যে বাংলাদেশে তা নয়, এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে, বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা একটু বেশি। যেমনÑ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। ফিলিপাইনে তো অনেক লোক মারা গেছে। এটি নিয়ে আমাদের দেশে দুটো সংস্থা কাজ করে। প্রথমত, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। যার আন্ডারে সিটি করপোরেশন বিভাগ। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এবার অনেক ডাক্তার, অনেক নার্সও আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে গত বছরের পাঁচ মাসই আমাদেরকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিরলসভাবে সেবা দিতে হয়েছে।
নয়া দিগন্ত : সরকারি হাসপাতালের চিত্র কম বেশি সবারই জানা। সাধারণ রোগীরা কি এই হাসপাতালের ওপর আস্থা রাখতে পারে?
ডা: উত্তম কুমার : ২০১৫ সাল এ হাসপাতালের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জনগণের চাহিদাগুলো নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছি। জনগণের পারসেপশন সরকারি হাসপাতালে শুধু গরিবের চিকিৎসা হয়। এখন মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তদের চিকিৎসা হয় না। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এ ধারণা পাল্টানোর চেষ্টা করছি। আমরা সেই আস্থা ফিরে পেয়েছি। এখানে গরিব-ধনী, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, মন্ত্রী, উপদেষ্টা এমপিসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন ও সব শ্রেণীর মানুষ সেবা নিতে আসে। জনগণের আরেকটি ধারণা ছিল, সরকারি হাসপাতাল মানেই দুর্গন্ধময়, নাকে রুমাল দিয়ে হাঁটতে হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে আমরা দুর্গন্ধমুক্ত করতে পেরেছি, সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেছি। আর এ জন্য হাসপাতালের আঙিনায় ফুলের বাগান দিয়ে সাজানো হয়েছে। পরিচর্যা ও সৌন্দর্য বর্ধনের আরো কাজ চলছে। পরিষ্কার রাখার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক দু’বার নয়, যখনই প্রয়োজন হয় তখন পরিষ্কার করার ব্যবস্থা আছে। জনগণের আরেকটি পারসেপশন হলো, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে তাদের সর্বস্ব খোয়াতে হয়। টানাটানি, রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া এসব কিছু শোনা যেত। এখন আর সেগুলো শুনতে পাবেন না। আমাদের হাসপাতাল শতভাগ দালালমুক্ত। কোনো কর্মচারী, নার্স বা চিকিৎসক দালালদের সাথে যুক্ত নেই। এখন আশপাশের সঙ্ঘবদ্ধ যে দালালচক্র গড়ে উঠেছে, তাদেরও আমাদের এখানে দেখা যায় না। তাদের ভিড় করারও সুযোগ নেই। আগের চেয়ে রোগী দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আগে এই হাসপাতালে ৮৫০ শয্যার মধ্যে অনেক শয্যা খালি থাকত। এখন এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ রোগী ভর্তি থাকে। বহির্বিভাগে রোগী থাকত এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ জন, এখন প্রতিদিনে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার রোগী দেখতে হয়। এ থেকে বোঝা যায় আমাদের এই হাসপাতাল জনগণের সেবার মান নিশ্চিত করতে পেরেছে, আস্থা পেয়েছে। এক কথায়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
নয়া দিগন্ত : হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
ডা: উত্তম কুমার : এখানে আমরা কয়েকটি কাজ করতে পেরেছি, যেমন সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ভালো হয় না এ ভেবে অনেকেই পরীক্ষাগুলো বাইরে করতে যেত, আবার যারা আসত ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। সব পরীক্ষা এই হাসপাতালেই করার সুযোগ আছে। শুধু প্যাথলজি বিভাগে ৫০টিরও বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া এন্ডোস্কপি, করনোস্কপি, সিটি স্ক্যান, অডিও মেশিন ও ভয়েজ ল্যাবÑ এ ধরনের অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা আছে। তা ছাড়া আমরা ওয়ান স্টপ ক্যাশ কাউন্টার করেছি। আগে লাইনে দাঁড়াতে হতো টিকিটের জন্য, এরপর লাইনে দাঁড়াতে হতো ডাক্তারের জন্য, পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হতো, এখন আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না। অতি স্বল্প সময়ে রোগীর স্বজনরা পরীক্ষা সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরে যেতে পারে। এ রকম অনেক সমস্যা ছিল, আমি তা সমাধান ও সহজ করেছি। আর এসব সার্ভিসের কারণে আমরা রোগীদের আস্থা ফিরে পেয়েছি; যার কারণে আগের চেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রোগী বেড়েছে। দেখবেন বারান্দায়ও এখন রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে।
নয়া দিগন্ত : হাসপাতালে বিকল যন্ত্রপাতি আছে কি না?
ডা: উত্তম কুমার : আমাদের হাসপাতালে বিকল যন্ত্রপাতি একেবারে নেই বললেই চলে। দু-একটা হয়তো থাকতে পারে। তবে যেগুলোর বয়স ১০ থেকে ১২ বছর হয়েছে, সেগুলো সংস্কার করা সম্ভব। আমাদের যেগুলো বিকল ছিল সেগুলো বছর শেষে সংস্কার করা হয়। অনেক হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে ফেলে রাখা হয়েছে। এ রকম কোনো যন্ত্রপাতি আমাদের হাসপাতালে নেই।
নয়া দিগন্ত : হাসপাতালে খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ আছেÑ এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
ডা: উত্তম কুমার : আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তা হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে খাবারের মান আরো উন্নত হওয়া প্রয়োজন। সে জন্য এখানে প্রতি রোগীর জন্য খাবারের যে বাজেট আছে তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে রোগীদের খাবারের উন্নত মান নিশ্চিত করা হবে।
নয়া দিগন্ত : ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই হাসপাতালে একটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ আছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হাসপাতালে বৈদ্যুতিক মেরামতের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। যদি সেই টাকায় ঠিকমতো কাজ হতো তা হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। এ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী?
ডা: উত্তম কুমার : হাসপাতালের সব সিভিল ও ইলেকট্রিক কাজ গণপূর্ত বিভাগ বা অধিদফতর করে থাকে। আমরা তাদের কাজের চাহিদা ও তদারকি করে থাকি মাত্র। আমার জানা মতে, গণপূর্ত বিভাগ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। তার পরও বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সুত্রপাত হয়েছিল।
নয়া দিগন্ত : আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালে পৌঁছাতে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
ডা: উত্তম কুমার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে যতগুলো পুরস্কার পেয়েছেন তার বেশির ভাগই স্বাস্থ্যখাতে। এই আন্তর্জাতিক পুরস্কারগুলোও স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য এক প্রকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আমরা ধনুস্টংকার ও পোলিওমুক্ত হয়েছি। এইডস প্রতিরোধে আমাদের অনেকখানি সফলতা আছে। আমাদের হাসপাতালে একসময় যে আধুনিক যতগুলো যন্ত্রপাতি থাকা দরকার, তা ছিল না। কিন্তু এখন আছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কারণে হয়েছে। এসব আধুনিক যন্ত্রপাতি অনেক বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতালেও নেই। কিন্তু এই হাসপাতালে আছে। আমাদের এখানে ল্যাসিক মেশিন আছে। ল্যাসিক হলো যাদের দৃষ্টিশক্তি ৮, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ বা বেশিমাত্রায়, যাদের চশমা রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাদের অপারেশন ছাড়াই দৃষ্টিশক্তির কারেকশন করা। বাইরে এর খরচ পড়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আমাদের এখানে সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। আমরা এ পর্যন্ত অপারেশন ছাড়াই ৮৫০ জন মানুষের চোখের দৃষ্টিশক্তি কারেকশন করেছি। আরেকটি ভয়েস ল্যাব আছে। যাদের কণ্ঠে স্বর উৎপন্ন হয় না। হতে পারে জন্মগতভাবে। দ্বিতীয়ত, হতে পারে অপারেশনের মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীদের গলা কেটে ফেলার কারণে। তাদের একটা অ্যাসেসমেন্ট করে স্বর উৎপন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি বছর প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারিভাবে একটি পুরস্কার প্রদান করা হয়, যেটা আমাদের হাসপাতাল আগে কখনো পায়নি। আমি এই হাসপাতালের দায়িত্ব গ্রহণের পর বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউএসএইড সমন্বয় করে এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তারা আন্তর্জাতিক মানের কি না সেটি যাচাইও করে থাকে। তা হলে এই পুরস্কার আন্তর্জাতিক মানের হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। এটি আমাদের জন্য একটি স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল হওয়ার জন্য আমরা আরো একটি কাজ শুরু করেছি। তা হলো ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন। আমাদের দেশের কোনো হাসপাতালে নেই। এর কিছু অংশ আছে এ্যাপোলো হাসপাতালে। কিছু অংশ আইসিডিডিআরবিতে আছে। সেটির প্রক্রিয়ার জন্য আমরা কমিটি গঠন করেছি। এটি অবশ্য হুট করে পাবো না। এই ক্রাইটরিয়াগুলো মোটামুটি পরিপূর্ণ হলে তখন আমরা আবেদন করব।
নয়া দিগন্ত : এই হাসপাতাল ঘিরে নতুন বছরে আপনার প্রত্যাশা কী?
ডা: উত্তম কুমার : কিছু অসমাপ্ত কাজ আছে স্বাস্থ্যসেবায় সেগুলো সমাপ্ত করা। আমি পরিচালক হয়ে আসার পর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করেছি। নতুন বছরে স্ট্যান্ডার্ড ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স চালু করার ইচ্ছা রয়েছে। সব কিছু থাকবে হাতের মুঠোয়। এখানে ইমার্জেন্সি রোগী কখনো সেবার অভাবে মৃত্যুবরণ করবে না। এখান থেকে ওয়ার্ডে যেতে গিয়ে সময় ব্যয় হবে না, রোগীদের জীবন বিপন্ন হবে না। এখানে সব ধরনের সার্ভিস দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। যেমন ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকবে, ইসিজি থাকবে, সিপিআর দিতে পারব, এন্ডোস্কপি করতে পারব, ব্রথোস্কপির ব্যবস্থা থাকবে, ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকবে। এক কথায় ইমার্জেন্সি রোগীদের জন্য এখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। ইনশা আল্লাহ আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারব। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, তিনতলা বিশিষ্ট ৮৫০ শয্যার হাসপাতালটি ছয়তলা বিশিষ্ট হাসপাতালে নির্মাণ করা। হাসপাতাল নির্মাণাধীন ঠিকাদার প্রধানমন্ত্রীর চলমান শুদ্ধি অভিযানের কারণে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় সাময়িকভাবে আমাদের কাজ বন্ধ আছে। আমরা যদি দ্রুত শেষ করতে পারি তা হলে এই হাসপাতালটি এক হাজার ৩৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত হবে। সেটি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আমরা উদ্বোধন করাবো। এখানে ৩২টি বিভাগ রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে আমরা আমাদের অসমাপ্ত কাজগুলো করতে পারলে এ হাসপাতালকে একটি বিশ্বমানের হাসপাতালে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
নয়া দিগন্ত : আপনাকে ধন্যবাদ।
ডা: উত্তম কুমার : আপনাকেও ধন্যবাদ।


আরো সংবাদ



premium cement