১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনাগাজীতে গোলাগুলিতে দুই যুবক নিহত

-

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের উত্তর মঙ্গলকান্দি এলাকায় বিসমিল্লাহ ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, নিহত দুই যুবক আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য ছিল। তবে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেনী থেকে ফেরার পথে তারা নিখোঁজ হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার উত্তর মঙ্গলকান্দি এলাকায় দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ওই এলাকায় যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর কৃষ্ণজয় গ্রামের বাদশাহ মিয়ার ছেলে শামছুল হুদা নিশান (২৩) ও একই ইউনিয়নের সফরপুর মফিজ চেয়ারম্যান বাড়ির ওবায়দুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (২৮) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি দু’’টি একনলা বন্দুক ও আটটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো: ইসমাইল হোসেন বলেন, রাতে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই ওই দুই যুবক মারা যায়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলিতে দু’জন নিহত ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানায় পৃথক মামলা করবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলে নিশানের লাশ শনাক্ত করেন বাদশাহ মিয়া। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ফেনীর আদালতে একটি ডাকাতির মামলায় হাজিরা দিয়ে নিশান শহরের বড় বাজারে বোনের বিয়ের বাজার করতে যায়। দুপুরের দিকে একই মামলার আরেক আসামি সুজন ফোন করে নিশানকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে নিশান নিখোঁজ ছিল। তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সকালে লোকমুখে খবর শুনে তিনি হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের লাশ পান। বাদশাহ মিয়ার দাবি, তার ছেলে নিশান গ্রামে কৃষিকাজ করত। তাকে ডাকাতির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অন্য দিকে শরিফুল ইসলামের বাবা ওবায়দুল হক হাসপাতাল মর্গে ছেলের লাশ শনাক্ত করে বলেন, তার ছেলে গত বৃহস্পতিবার একটি ডাকাতির মামলায় ফেনী আদালতে হাজিরা দিতে যায়। আদালতে হাজিরা দেয়ার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার ছেলে উপকূল নামের একটি পরিবহনে গাড়ির চালক ছিল। 


আরো সংবাদ



premium cement