২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুর্নীতির অভিযোগে মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দুই এপিএসকে দুদকে তলব

-

দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে তলব করা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস ড. আরিফুর রহমানকে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের পৃথক তলবি নোটিশ পাঠায়।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে তলব করা হয়েছে। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা চিঠিতে তাকে আগামী ২১ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রভাবশালীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করে দুদক। কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।
এ দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ড. আরিফুর রহমান সেখকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার তাকে তলবি নোটিশ পাঠানো হয়।
দুদক জানায়, বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের ঠিকাদারি পাইয়ে দিয়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ড. আরিফুর রহমান সেখকে তলব করা হয়েছে।
এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনকেও তলব করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি, সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে তাদের। জাকিরের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement