চিফ হুইপের ক্ষোভ চেয়ারটা চলে যাওয়ার পর আপনাদের বাড়িতে মাছিও যাবে না
- মাদারীপুর সংবাদদাতা
- ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এসএসসি ফরম পূরণে আলোচিত দুর্নীর্তি ও অনিয়ম নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী। একই সাথে তিনি বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর নিয়েও ক্ষোভ জানান। এ ঘটনায় দলীয় নেতারা সম্পৃক্ত থাকলে তাদের আইনের আওতায় নেয়া ও দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতির নাম এসেছে, তাকে দল থেকে বাদ দিতে বলেছি। ক্ষোভের সাথে তিনি নেতাদের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, চেয়ারটা চলে যাওয়ার পর বুঝবেন মানুষতো দূরের কথা আপনার বাড়িতে মাছিও যাবে না। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ঢাকাস্থ শিবচর উপজেলা সমিতির বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে চিফ হুইপের এমন হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যে উপস্থিত সবাই করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। মঞ্চে এ সময় বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।
একই দিন সন্ধ্যায় পৌর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে সর্বসম্মতক্রমে মো: তোফাজ্জেল হোসেন খানকে (তোতা খান) সভাপতি এবং শঙ্কর চন্দ্র ঘোষকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
চিফ হুইপ আক্ষেপ করে বলেন, কুতুবপুর স্কুলে মিলাদের জন্য ৫০০ টাকা করে বেশি নেয়া হয়েছে। মিলাদের মিষ্টির জন্য ৫০ টাকার বেশি লাগার কথা না। বাকি টাকা কোথায় যায়? কোনো কমিটির ব্যর্থতা ও শিক্ষকদের অনৈতিক কাজের দায় আমরা নেবো না। শিক্ষকরা তাদের দলাদলিতে ছাত্রদের কাজে লাগাবেন, তা হবে না। কাউরে বাসায় গিয়ে আমরা পোস্ট দেই না। পোস্ট পেলে পদের সম্মান করবেন। কুতুবপুরে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনও গেছে। তদন্ত হতো। ব্যবস্থাগ্রহণ করত। প্রধান শিক্ষক অপসারণ করতেই হবে। ও অপসারণ হলে কি ফেরেশতা আসবে? ’যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ ’পরেরটা আরও খারাপ। এভাবে আন্দোলন ঠিক না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা