২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্ব রেকর্ড দিয়ে ডমেক্সের টয়লেট দিবস পালন

-

দেশের স্কুলের চার ভাগের তিন ভাগ টয়লেটই ব্যবহারের অনুপযোগী। ফলে প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁঁকিতে আছে। তারা প্রায়ই আক্রান্ত হচ্ছে কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগে। ইউনিলিভারের বিশ্বসেরা টয়লেট ক্লিনিং ব্র্যান্ড ডমেক্স বাংলাদেশের স্কুলে পরিচ্ছন্ন টয়লেট নিশ্চিত করার সোশ্যাল মিশন নিয়েছে। আর এই অভিযানের অংশ হিসেবে ‘বিশ্ব টয়লেট দিবস’ উদযাপন করেছে ডমেক্স।
গতকাল মিরপুর-১৪ এর পুলিশ স্টাফ কলেজে পরিচ্ছন্নতার যুদ্ধে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে তৈরি করেছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রোডাক্ট স্যাশে ওয়ার্ড। বিশ্ব টয়লেট দিবসে এই বিশ্ব রেকর্ড বাংলাদেশের উন্নত ও পরিচ্ছন্ন স্যানিটেশনের যে লক্ষ্য সেটিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সাহায্য করল। এই আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্কুল টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে শপথ নিয়েছেন দেশের বহু মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় উপস্থিত থেকে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো: সাইফুর রহমান, ইউনিলিভারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেদার লেলে, ওয়াটার এইডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমরুল কায়েস মুনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ও টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর আয়েমান সাদিক।
অনুষ্ঠানে ডমেক্সের কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্কুল স্যানিটেশন পরিস্থিতি পাল্টাতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষক, এলাকাবাসী, অভিভাবকসহ সমাজের গণ্যমান্য সবাইকে নোংরা ও ব্যবহার অনুপোযোগী টয়লেট নিয়ে কথা বলতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপরিচ্ছন্ন টয়লেট নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আর সে জন্যই বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে টয়লেট পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করে বাংলাদেশে এসেছে ডমেক্স। শুরু করেছে ‘নো মোর নোংরা টয়লেট’ অভিযান। বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলের টয়লেট পরিচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত ডমেক্স এই ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাবে এবং বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়ে কাজ করবে। কারণ পরিচ্ছন্ন টয়লেটের মাধ্যমে ডমেক্স চায় শিশুদের জন্য এক সুস্থ সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে।
তারা আরো বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাশে ওয়ার্ড তৈরিতে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ‘ নো-মোর নোংরা টয়লেট’ অভিযানের অংশ হিসেবে বছরজুড়ে সারা দেশের বেশ কিছু স্কুলে নানারকম সচেতনতামূলক ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ডমেক্স। ইউনিলিভার-ডমেক্স বিশ্বাস করে, সবার সচেতনতায় অদূর ভবিষ্যতে বদলে যাবে শিশুদের স্কুলের নোংরা টয়লেট। বিশ্ব টয়লেট দিবস ২০১৯ উদযাপনে ডোমেক্সের পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ওয়াটারএইড, ভলেনটিয়ার ফর বাংলাদেশ, নড়াইল ফাউন্ডেশন ও ১০০ এরও বেশি স্কুল।


আরো সংবাদ



premium cement