রাঙ্গামাটিতে রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন
- রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা
- ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে লাখো পুণ্যার্থীর শ্রদ্ধা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী ৪৬তম কঠিন চীবর দানোৎসব শেষ হয়েছে।
দুপুরে রাঙ্গামাটির রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে বৌদ্ধ সমাবেশে রাঙ্গামাটি সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায় পার্বত্য বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু বনভন্তের শীর্ষ মণ্ডলীর কাছে চীবর উৎসর্গ করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বেইন ঘর উদ্বোধন করে চরকায় সুতা কেটে দুই দিনের কঠিন চীবর দান উৎসবের সূচনা করেন।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রঙ করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান।
বৃহস্পতিবার চরকায় সুতা কেটে চীবর প্রস্তুতের কাজ সূচনা করা হয়। রাজবন বিহারের বিশাল এলাকাজুড়ে ৮০টি চরকা ও ১৮২টি বেইন স্থাপন করা হয়। ছয় শতাধিক নারী এ চীবর প্রস্তুত কাজে অংশ নেয়।
বৌদ্ধশাস্ত্র মতে, দীর্ঘ আড়াই হাজার বছর পূর্বে গৌতম বুদ্ধের শিষ্য বিশাখা এ চীবর তৈরির প্রথা প্রচলন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সাল থেকে বুদ্ধের শিষ্য বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে ৪৬ বছর ধরে কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা