পাসপোর্ট চেয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুলের রিট
শুনানি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:২৬
পাসপোর্ট চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দিয়েছেন।
এ দিকে রিট আবেদনের ওপর গতকাল শুনানি না হওয়ায় এবং পাসপোর্ট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভিপি নুর। গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ভিপি নুর তার প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় সেখানে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদও তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, পাসপোর্টটি জরুরি বিষয়। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্যই আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কিন্তু আদালত তা করলেন না। এতে আমার আশঙ্কা, সরকার হয়তো ভিপি নুরকে পাসপোর্ট দিতে চাচ্ছে না। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে যদি আবার সরকার সময় চায়, আদালত যদি সময় দেয় তাহলে হয়তো ভিপি নুরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
ভিপি নুর বলেন, আমি ডাকসু ভিপি হয়েও এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা চারবার হামলার শিকার হয়েছি। এ কারণে আমি শারীরিকভাবে আহত। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সে কারণে আমি পাসপোর্টের জন্য গত ২৩ এপ্রিল পাসপোর্ট অধিদফতরে আবেদন করি। পাসপোর্ট অধিদফতর গত ২ মে তাকে পাসপোর্ট দেয়ার দিন নির্ধারণ করে। কিন্তু পাসপোর্ট দেয়নি রহস্যজনক কারণে। নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট না পেয়ে গত ১ আগস্ট আদালতে রিট আবেদন করেন তিনি।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট না পেয়ে আমি আদালতের শরণাপন্ন হই। ১ আগস্ট আদালতে রিট আবেদন করি। দীর্ঘ দিন আদালত বন্ধ ছিল। এ কারণে শুনানি হয়নি। আজ আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ শুনানির জন্য দিন ধার্য করার আবেদন জানান। কিন্তু আদালত শুনানির দিন ধার্য করতে রাজি হননি। কবে শুনানি হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এতে আমার কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, সরকার হয়তো আদালতকে প্রভাবিত করেছে আমার পাসপোর্ট না দেয়ার জন্য। এটা যদি হয়ে থাকে তবে তা নিন্দনীয়। দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে তার প্রমাণ আমার পাসপোর্ট না দেয়ার বিষয়টি। বিচারকরা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হচ্ছে। এটা বিচার বিভাগের চিত্র হতে পারে না। আদালতের প্রতি সম্মান করে বলব, জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল আদালত। আপনারা বিবেকের দ্বারা পরিচালিত হয়ে জনকল্যানে রায় দেবেন।
ভিপি নুর বলেন, পাসপোর্ট পাওয়া একজন মানুষের মৌলিক অধিকারেরই অংশ। একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমার অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাধে মতবিনিময়ের জন্য বিদেশ যেতে হতে পারে। পাসপোর্ট না থাকার কারণে নেপালে একটি অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। অক্সফোর্ড ছাত্র ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানেও যেতে পারছি না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা