২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সার্ক এক্সেল ‘মুক্ত হোক শৈশব’ বাইরে খেলা নিয়ে শিশুদের সাথে কথা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের

-

দ্রুত নগরায়ণ এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে এখনকার শিশুদের সাথে বাইরের জগতের সম্পর্ক নেই বললেই চলে। অল্প যে অবসরটুকু ওরা পায় সেটুকুও কাটাচ্ছে স্ক্রিনে। তবে এ জন্য ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বরং দোষ দিলে সেটা হবে অন্যায়। কেননা মাঠ বা খেলার জায়গার অভাবে আজকের শিশুরা বেড়ে উঠছে কয়েক ইঞ্চির বন্দী স্ক্রিনে।
বাইরে খেলাধুলার গুরুত্ব স¤পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ‘মুক্ত হোক শৈশব’ শীর্ষক একটি নতুন ক্যাম্পেইন লঞ্চ করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ড সার্ফ এক্সেল। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পার্টনারদের সহযোগিতা নিয়ে জনসাধারণকে সৃজনশীল কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করানো এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। আর তারই অংশ হিসেবে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথোরিটির সাথে জোট বেঁধে সার্ফ এক্সেল গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ‘কার ফ্রি স্ট্রিট’-এর আয়োজন করে আসছে। প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলা এই কার্যক্রমে ছোট-বড় সব বয়সী শিশুদের খেলাধুলার সুবিধার্থে ও নিরাপত্তার স্বার্থে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেয়া হয়। শিশুদের সৃজনশীলভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি মাসে আলাদা আলাদা থিমে সেট করা হয় পাশাপাশি তাদের আনন্দ ও হই চইয়ের জন্য ব্যবস্থা করা হয় নানান ধরনের খেলাধুলার সামগ্রীও।
গত ৪ অক্টোবর, সর্বশেষ আয়োজিত ‘কার ফ্রি স্ট্রিট’ ইভেন্টটিতে শিশুদের জন্য ছিল এক বিশেষ চমক। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জনপ্রিয় তিন ক্রিকেটার শিশুদের বাইরে খেলতে উৎসাহিত করতে যোগ দিয়েছিলেন এই উদ্যোগে। দেশের অন্যতম শীর্ষ উইকেট শিকারি তাসকিন আহমেদ, ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেন ও দলে আসা নতুুন মুখ আফিফ হোসেনের সাথে দেখা হওয়া ও তাদের সাথে খেলতে পারা উপস্থিত সব শিশু এবং বাবা-মা উভয়ের জন্যই ছিল দারুণ অনুপ্রেরণার। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট মাঠের নায়কদের কাছে পেয়ে ও সময় কাটাতে পেরে ভীষণ খুশি শিশুরাও। খেলার পাশাপাশি কিভাবে ব্যাট ধরতে হয়, বোলিং করতে হয় সে বিষয়ে শিশুদের পরামর্শ দেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট মাঠের নায়কদের সাথে তাদের সন্তানদের এই মেলবন্ধন বেশ উপভোগ করেছেন উপস্থিত বাবা-মায়েরা।
‘মুক্ত হোক শৈশব’ ক্যা¤েপইনটিকে সমর্থন জানিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন ক্রিকেটাররা। বাইরের কার্যক্রমে অংশ নেয়ার চেয়ে বর্তমানে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে শিশুদের আটকে থাকার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন রুবেল হোসেন। পাশাপাশি তাসকিন আহমেদও জানান মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় খেলাধুলার ইতিবাচক প্রভাবের কথা। এ সময় তিনি শিশুদের বিষণœতা থেকে মুক্ত করতে বাইরে খেলাধুলার পরামর্শ দেন। আফিফ হোসেন বাইরে খেলাধুলাকে গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করেন এবং সেই সাথে এটিকে একজন শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক বলে মন্তব্য করেন। পরে ক্রিকেটাররা উপস্থিত সব বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেন এবং তাদের শিশুদের বাইরে খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করতে উৎসাহিত করেন। ভবিষ্যতেও এ রকম সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয় সার্ফ এক্সেলের পক্ষ থেকে। বাবা-মা ও শিশুদের মুক্ত হোক শৈশব আন্দোলনে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করাই হবে এই কার্যক্রমগুলোর উদ্দেশ্য। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement