বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় শাড়িসহ ১৭ টন অবৈধ কাপড় আটক
মূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা- বেনাপোল (যশোর ) সংবাদদাতা
- ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৮
বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে কাগজপত্রবিহীন ভারতীয় শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্র্তৃপক্ষ। আটক পণ্য চালানটির মোট ওজন ১৭ হাজার কেজি এবং শুল্ককরসহ মোট মূল্য প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পণ্য চালানটি গত সোমবার রাতে আটক করা হয়েছে। এ কথা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় উন্নতমানের ৭০ পিস ভারতীয় শাড়িসহ অবৈধভাবে আনা ফেব্রিক্সের একটি চালান বেনাপোল বন্দরের ১৭ নাম্বার শেড থেকে কাভার্ডভ্যানে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। এ সময় পণ্যভর্তি ট্রাকটি রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় শেডে দায়িত্বে থাকা আব্দুল মতিন ও পাচারকারীরা। পরে দায়িত্বরত আব্দুল মতিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও পণ্যের বৈধ কোনো কগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এ ছাড়াও কে বন্দর শেডে পণ্য চালানটি রেখেছে এবং কে লোড করছিল সে বিষয়ে মুখ খোলেননি মতিন। জানা গেছে, প্রান্ত নামে এক এনজিও কর্মী ও শেডে দায়িত্বরত আব্দুল মতিন মিলে আব্দল্লাহ নামের একজনকে দিয়ে কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে শেড থেকে পণ্য চালানটি পাচার করছিল। চক্রটি একাধিকবার এমন অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ারও গুঞ্জন রয়েছে।
এ দিকে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং অ্যাসোসিয়েশনের বইয়ে এবং ওই সিঅ্যান্ডএফের অফিস অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায়, ওই নামে কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নেই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোনো বর্ডার ম্যানকে তারা চেনেন না। কৌশল অবলম্বনে ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করা হতে পারে।
স্থানীয় সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যেমে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। আর এসব শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অসাধু আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ সদস্যরা আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বন্দরের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সংস্থার কর্মী ও সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও কাজে আসছে না অনিয়ম রোধে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির অবৈধ পণ্য চালান আটকের বিষয়টি গতকাল দুপুরে নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি কাস্টমস তদন্ত করছেন। তবে বন্দরের কারো দায়িত্ব পালনের অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানিকৃত কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটি তো আটক করতেই হবে। সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে একটি কাগজপত্রবিহীন ৭০ পিস শাড়িসহ ৪৮৫টি প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করা হয়েছে। বর্তমান বেনাপোল কাস্টমস হাউজে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোনো প্রকার কাউকে ছাড় দেয়া হয় না এখানে। তবে এ ধরনের অবৈধ কাজের সাথে কারা জড়িত তদন্ত না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এখনো জানতে পারিনি এর সাথে কারা জড়িত আছে। এ ধরনের কাজের সাথে যারা জড়িত আছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা