২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন

কাঞ্চন-নিপুণের ২২ প্রতিশ্রুতি

কাঞ্চন-নিপুণের ২২ প্রতিশ্রুতি - ছবি : সংগৃহীত

২২টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন।

কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সদস্যরা এবার ‘মর্যাদায় ও পর্দায় আমাদের শিল্পী’ শ্লোগানে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলেও এসময় জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। এদিন সংবাদকর্মীদের সামনে তাদের ২২ দফা ইশতেহার তুলে ধরেন। কী আছে তাতে?

১. জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত এফডিসিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের উদ্যোগ নেয়া।

২.‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাষ্ট ২০২১’- এর নীতিমালা অনুযায়ী শিল্পীদের কল্যাণে সর্বোচ্চ ব্যবহার।

৩. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সহজ শর্তে বড় অংকের ফান্ডের ব্যবস্থা করা।

৪. অন্যায়ভাবে যে সকল সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল, স্থগিত ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে তাদের অধিকার ফেরত দেয়া ও সদস্যপদ পুনর্বহাল করা।

৫. যে কোন দুর্যোগ, সমস্যা ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শিল্পী সমাজের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তা করা।

৬. সহায়তাগ্রহণকারীদের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় কোন সহায়তা কর্মকাণ্ডের ছবি/ভিডিও জনসম্মুখে প্রকাশ না করা।

৭. আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সকল ধরনের ধর্মীয় উৎসবে (যেমন দুই ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমায়) স্বল্প আয়ের সদস্যদের উৎসব ভাতা ও উপহার প্রদানের ব্যবস্থা করা।

৮. পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের সংগঠনের সাথে পারস্পরিক মত বিনিময় এবং শিল্পী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিদেশে আমাদের শিল্পীদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা।

৯. শিল্পী সমিতির ওয়েবসাইট সমৃদ্ধ করতে প্রযুক্তিগত আরও উন্নয়ণ করা।

১০. সকল শিল্পীর প্রোফাইল তৈরি করা হবে। বিশেষ করে নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যের শিল্পীদের প্রোফাইল তৈরি করে আন্তর্জাতিক কাস্টিং ডিরেক্টরদের প্রদান করা। ভাষার ব্যবহার না থাকায় যেন বিশ্বের যে কোন দেশের চলচ্চিত্রে নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য আমাদের শিল্পীরা কাজ করতে পারে যা পাশ্ববর্তী দেশ বিগত দিনে করেছে।

১১. শিল্পী সমিতির সভাপতিকে পদাধিকার বলে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধিত্বের জন্য অন্তর্ভূক্তিকরণের ব্যবস্থা করা।

১২. ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করা শিল্পীদের জন্য বিশেষ বীমা ও সবার জন্য গ্রুপ বীমার ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।

১৩. শিল্পীদের চিকিৎসা কার্যক্রমের সুবিধার্থে কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগণস্টিক ল্যাবের সাথে বিশেষ ছাড়ের জন্য চুক্তির উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন করা।

১৪. শিল্পীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও তাদের বাবা-মাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

১৫. চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলতে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন ও নতুন প্রযোজকদের চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি থেকে শুরু করে ছবি মুক্তি পর্যন্ত যাবতীয় সহায়তা প্রদান।

১৬. চলচ্চিত্র সংক্রান্ত সকল সমিতির সাথে পারস্পরিক মত বিনিময় ও সেমিনারের ব্যবস্থা করা।

১৭. শিল্পী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া। যেখানে সব ধরনের শিল্পী তৈরির পাঠ্যসূচি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

১৮. নৃত্যের শিল্পীদের জন্য ড্যান্স স্টুডিও ও ফাইট এন্ড স্টান্ট স্টুডিও এবং অত্যাধুনিক ই্কুইপমেন্ট সমৃদ্ধ জিমনেসিয়াম স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া।

১৯. সব শিল্পী উপযোগী মেকআপ সেলুন ও পার্লার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া।

২০. শিল্পীদের পেশার মান বৃদ্ধিতে দেশের ও দেশের বাইরের কিংবদন্তী শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করা।

২১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফর ও বিদেশে সাংস্কৃতিক সফরে শিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

২২. শিল্পী সমিতির মর্যাদা রক্ষা ও সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণে সচেষ্ট থাকা এবং কেউ একবার সদস্য হলে তাদের সদস্যপদ আজীবন সংরক্ষিত থাকবে। তবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী গুরুতর কর্মকাণ্ডে কেউ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ এলে এবং তদন্তসাপেক্ষে প্রমাণিত হলে সদস্যপদ স্থগিত হতে পারে। যা সাধারণসভায় উত্থাপন করে চূড়ান্ত অনুমোদন নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল