২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাঁচ বছরে নায়ক রাজকে নিয়ে বাস্তবায়ন হয়নি কোনো উদ্যোগ

পাঁচ বছরে নায়ক রাজকে নিয়ে বাস্তবায়ন হয়নি কোনো উদ্যোগ - ছবি : সংগৃহীত

নায়করাজ রাজ্জাক। বাংলা চলচ্চিত্রকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এ মানুষটির জন্ম ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (২৩ জানুয়ারি) কলকাতার টালিগঞ্জে। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। রাজ্জাকের মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে গভীর শোক নেমে আসে।

নায়করাজের মৃত্যুর পর অনেক কিছুই করার কথা ছিল। তার নামে এফডিসিতে ফ্লোর আর সড়কের নামকরণের দাবি তুলেছিল চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন। রাজ্জাক স্মরণে এফডিসিতে বড় আয়োজনে কিছু করার কথাও তখন বলেছিলেন অনেকে। কিন্তু পাঁচ বছরেও নায়করাজকে নিয়ে দৃশ্যমান তেমন কিছুই করা হয়নি।

সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন অনেক সীমাবদ্ধতার কথা। তাদের যুক্তি, করোনার কারণে অনেক কিছুর মতো নায়করাজকে নিয়ে কিছু করার উদ্যোগও থমকে গেছে।

অবশ্য তাতে নায়করাজের পরিবারের কোনো সদস্য কোনোরকম মনঃক্ষুণ্ন হননি। রাজ্জাকের ছেলে নায়ক সম্রাট বলেন, `দেখতে দেখতে আব্বা নেই প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেল। কে আব্বার নামে কী করল, না করল—এসব নিয়ে আমাদের পরিবারের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা জানি, এই দেশের মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসে, সম্মান করে। এখনো কোথাও গেলে মানুষ যখন জানতে পারেন, আমি নায়করাজের সন্তান, তখন যে সম্মান তারা দেন, এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি।'

তবে একটি ঘটনায় রাজ্জাকের পরিবার অবাক ও বিস্মিত হয়েছে। তা হলো নায়করাজের স্ত্রী খায়রুন্নেছা লক্ষ্মী ও তার বড় ছেলে বাপ্পারাজ শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে গিয়েছিলেন ‘হারিমেটেজ গেস্ট হাউস’-এ। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান একটি বাংলোর নাম রাখা হয়েছে রাজ্জাকের নামে। অতিথিশালার কর্ণধার আইনজীবী সুলতানা ফাইজুন্নাহার বাংলোটিকে নায়করাজ রাজ্জাককে উৎসর্গ করেছেন। উৎসর্গপত্রে লেখা আছে ‘নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে—যিনি এই পর্ণকুটিরে একাধিকবার পদধূলি দিয়াছেন’। নিজের বাবার নামে বাংলো উৎসর্গ দেখে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বাপ্পারাজ।

বাবার জন্মদিনের দিন ফজরের নামাজ পড়ে ছোট ছেলে সম্রাট চলে যান বনানীর কবরস্থানে। কয়েক বছর ধরে এটিই হয়ে আসছে।


আরো সংবাদ



premium cement