২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আরো জটিল হলো সুশান্তের মৃত্যু রহস্য, কী সম্পর্ক তার বন্ধু ও রিয়ার মধ্যে

- ছবি : সংগৃহীত

বলিউড তারকা সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যু নিয়ে এখনো সরগরম ভারত। সর্বশেষ জানা গেছে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া শুক্রবার সকালেই নিজের বয়ান রেকর্ডের জন্য চলে যান ইডি অফিসে।

৯ ঘন্টা জেরার পরেও জানা যায়, তিনি ইডি-কে তদন্তে সহযোগিতা করেননি। আজ সুশান্ত এবং রিয়ার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি’র সদর দফতরে হাজিরার জন্য তলব করা হল।

সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। রিয়ার গত এক বছরের কল রেকর্ড থেকে দেখা যায়, গোটা বছরে ১০০ বার রিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে সিদ্ধার্থর । কিন্তু কেন? এত বার কেন তার সঙ্গে কথা হয়েছে রিয়ার? রিয়া আর সিদ্ধার্থের কি আলাদা কোনো সম্পর্ক ছিল, যা সুশান্ত জানতেন না?

সুশান্তের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমকে সুশান্ত নিয়ে নানা কথা বললেও রিয়ার সঙ্গে ফোন কলের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সিদ্ধার্থ। আর সেখানেই সুশান্ত-মৃত্যুর তদন্তে উত্তাপ বাড়তে থাকে।

২৮ জুলাই বান্দ্রা পুলিশকে পাঠানো একটি ই-মেইলে ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি দাবি করেছিলেন, রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য তাকে জোর করছে সুশান্তের পরিবার। সেই তিনিই আবার বলেন, বড্ড একা হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।

অন্য দিকে সুশান্তের কাছের মানুষ হিসেবে সুশান্তের ডায়েরির পাতা উধাও প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে সিদ্ধার্থ বলেন, “নায়কের মাঝেমধ্যেই নিজের ডায়রি ছেঁড়ার অভ্যেস ছিল।”

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে সিদ্ধার্থ দাবি করেন, “জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমাকে ফোন করে সুশান্ত। বার বার আমাকে বলছিল ওর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্যে। দু’জনে মিলে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করছিল সুশান্ত। ও বলেছিল, আর অভিনয় করতে ভাল লাগছে না। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি অথবা কনটেন্ট সংক্রান্ত কোনও কাজ শুরু করার কথা ভাবছিল। আমাকে বলেছিল, ওর মতে এই কাজে ওর যোগ্য সহযোগী আমিই হতে পারি। আমাকে চাকরি ছেড়ে চলে আসতে বলে। এমনকি, চাকরিতে যে বেতন পেতাম তাই দেবে বলেছিল ও।"

সিদ্ধার্থ জানান, সুশান্তের ফোন পেয়েই চাকরি ছেড়ে, নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে সোজা চলে আসেন বন্ধুর কাছে। কিন্তু অভিনেতার বাড়ি পৌঁছে দেখেন, সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছেন সুশান্ত। কাঁদতে কাঁদতে সিদ্ধার্থকে তিনি নাকি এও বলেন, তার জীবনে কেউ নেই।

তিনি জানান, “সুশান্ত বলে, ওর আপন বলতে কেউ নেই। সব কিছু ছেড়ে পাভনা চলে যাওয়ার কথা ও আমাকে বলেছিল। সেখানে সুশান্তের একটি ফার্ম হাউস আছে। মাঝেমধ্যেই মানসিক চাপ কাটাতে সেখানে পাড়ি দিত। সুশান্ত বলেছিল, ভবিষ্যত্‍ জীবনে চাষ করতে চায় এবং মধ্যবিত্তের মতোই জীবন কাটাতে চায়।"

সুশান্ত নিয়ে এত কথা বললেও রিয়ার সঙ্গে তার ঘন ঘন ফোনে কথা হচ্ছে, এ বিষয় কোথাও কোনও উল্লেখ করেননি সিদ্ধার্থ। রিয়ার ফোন কল ঘেঁটে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে। তার এই রিয়ার ফোন কল এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর কর্তাদের। 

সে কারণেই এবার ডেকে পাঠানো হল সিদ্ধার্থকে। যদিও সিবিআই-এর দায়ের করা মামলায় ছয়জনের মধ্যে নাম নেই সিদ্ধার্থের। আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement
‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি

সকল