২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শর্ত মানলেই মিশা-জায়েদের সাথে ১৮ সংগঠনের আলোচনা

শর্ত মানলেই মিশা-জায়েদের সাথে ১৮ সংগঠনের আলোচনা - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিএফডিসিতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মহড়া চলছে। এই অবস্থা নিরসনে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের সাথে আলোচনার বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন। তবে এই আলোচনায় বসতে হলে মিশা-জায়েদকে শিল্পী সমিতির পদ থেকে সরে যেতে হবে।

বুধবার দুপুরে ১৮ সংগঠনের এক সভায় এই শর্ত দেয়া হয়।

মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যখন-তখন শিল্পীদের সদস্যপদ বাতিল করা, দুর্নীতি, চলচ্চিত্রের উন্নয়ননীতির বিরুদ্ধে শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ এনেছিল চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন। আজকের সভার পর প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘তাদের দুজনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার প্রমাণগুলো এখন আমাদের হাতে। আজ নতুন আরেক দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। ২০১৯ সালে চলচ্চিত্র দিবসে যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করেছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খরচ বাবদ তারা জায়েদ খানকে ছয় লাখ টাকা দিয়েছিল। বারবার চিঠি দেয়া সত্ত্বেও চলচ্চিত্র উদযাপন কমিটির আহ্বায়ককে সেই খরচের হিসাব দেননি জায়েদ খান। এ হিসাবের বাইরেও ঘুষ হিসেবে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আরো দুই লাখ টাকা নিয়েছেন।’

এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘ওই দুই লাখ টাকা আমি নিয়েছি, সেই প্রমাণ দেখাক, তারপর এ নিয়ে কথা বলব। তা ছাড়া আমাদের পদত্যাগের দাবি করার তারা কারা? আমাদের পদত্যাগ দাবি করতে পারে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদ।’

চলচ্চিত্র দিবসের অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান রাউন্ড দ্য ক্লক। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সালমান মাহমুদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র দিবসের পুরো আয়োজনে আমাদের প্রতিষ্ঠান ৩২ লাখ টাকার কাজ করেছে। তার মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য জায়েদ খান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশটুকু যেভাবে হয়েছে, তাতে আমি খুশি না। কারণ অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করার কথা ছিল পূর্ণিমা ও রিয়াজের, তারা করেননি। অনুষ্ঠানে তারকাশিল্পীদের পারফরম্যান্স করার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে বড় কোনো শিল্পী ছিলেন না। আমি নিশ্চিত ওই অনুষ্ঠানে ছয় লাখ টাকা ব্যয় হয়নি।’ জায়েদ খান দুই লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটি অন্য ব্যাপার, ব্যক্তিগত। সে ব্যাপারে আমি কিছু না বলি। সেটি হিসাবের মধ্যে নেই। বিষয়টি নিয়ে না লেখাই ভালো।’

১৮ সংগঠনের পদত্যাগ দাবির প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতিসহ সব সংগঠনের সদস্যদের নিয়েই একটি সিনেমা তৈরি হয়। এখন এই পদত্যাগ দাবি করা প্রসঙ্গে কিছু বলতে গেলে সেগুলো নিজের গায়েই লাগবে।’

বুধবারের সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সোহানুর রহমান সোহান, ফিল্ম ক্লাবের নেতা ওমর সানী, ১৮ দলের সমন্বয়ক বিপ্লব শরীফ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement