১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে মুসলমানদের নাগরিকত্ব সমস্যা : সরকারের পক্ষেই রজনীর সাফাই!

রজনীকান্ত বললেন, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু রাজনৈতিক দল বিক্ষোভে মদত দিচ্ছে। - ছবি : সংগৃহীত

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে ভারতজুড়ে। তা নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের সুরেই গলা মেলালেন দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত। তার দাবি, এই আইন একেবারেই মুসলিমবিরোধী নয়। যদি কোনো মুসলিম এই আইনের ফলে সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে তিনিই সবার আগে প্রতিবাদ করবেন।

বুধবার চেন্নাইয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রজনীকান্ত বলেন, ‘সিএএ নিয়ে মুসলিমদের কোনো ভয় নেই। তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে, সবার আগে আমিই প্রতিবাদ করব। দেশভাগের পরেও যারা এ দেশে থেকে গিয়েছিলেন, তাদের কীভাবে বের করে দেয়া হবে?’

রজনীকান্তের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু রাজনৈতিক দল বিক্ষোভে মদত দিচ্ছে। তাই বিষয়টি নিয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করে তবেই বিক্ষোভ দেখানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। রজনী বলেন, ‘সিএএ নিয়ে কোনো ভারতীয়কে সমস্যায় পড়তে হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে সরকার। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে কিছু রাজনৈতিক দল। শিক্ষার্থীদের কাছে আমার আর্জি, বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপকদের সাথে আলোচনা করে তবেই প্রতিবাদে নামুন।’

সিএএ’র বিরুদ্ধে গত মাস দুয়েক ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। তা নিয়ে আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রজনীকান্ত। বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা মাথাচাড়া দিলে সেইসময় তিনি বলেন, সহিংসতা এবং দাঙ্গার মাধ্যমে কোনো কিছুর সমাধান খোঁজা উচিত নয়।

তবে এ ব্যাপারে গোড়া থেকেই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন রজনীকান্তের সতীর্থ কমল হাসান। সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) মাধ্যমে মোদি সরকার দেশের কাঠোমাটাকেই ভেঙে ফলতে উদ্যত হয়েছে বলে মত তার। কমলের দাবি, ‘সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার অর্থ এই নয় যে, দেশের কাঠামোটা ভেঙে দেয়ার অধিকার রয়েছে। সিএএ’র পর এনআরসি চালু করতে চাইছে সরকার। কাগজপত্র না থাকলেই কারো শিকড় অস্বীকার করা যায় না। এই স্বৈরশাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement