১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সোনাগাজীর কমিশনার এনামুলের সম্পদ জব্দ করতে আদেশ

মোহাম্মদ এনামুল হক - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনীর সোনাগাজীর বাসিন্দা এবং সিলেটে কর্মরত কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের ঢাকা ও গাজীপুরে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সম্পদ জব্দের এ আদেশ প্রদান করেন।

মোহাম্মদ এনামুল হকের গ্রামের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনগাজী বাজার সংলগ্ন ছাড়াইতকান্দি গ্রামে। তার বাবা মরহুম আহাম্মেদের রহমান। পাঁচ ভাই এক বোনের মাঝে তিনি বড়। সোনাগাজীতেও তার একাধিক বাড়ি থাকার খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, নয় কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই দুদক এনামুল হকের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। এনামুল হোসেন তখন কাস্টমস ভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ইন্টারনাল অডিট বিভাগের কমিশনার পদে ছিলেন।
সম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার বসুন্ধরায় একটি নয়তলা বাড়ি ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তিনটি ফ্ল্যাট এবং একাধিক বাণিজ্যিক স্পেস। এর বাইরে গাজীপুর, গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় এনামুলের ৪৭ শতাংশ জমি জব্দ করার খবর গণমাধ্যেমে প্রকাশ পেয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ছোট ভাই জানান, এনামুল ভাই চাকরি জীবনের শেষ সময়ে এসে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রতিহিংসার শিকার। তার সহকর্মীরা পদোন্নতি ঠেকাতে আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে একটি সূত্র জানায়, কমিশনার এনামুল ঢাকায় থাকলেও গ্রামের বাড়িতে ভবনসহ একাধিক বাড়ি রয়েছে। এছাড়া প্রায় ২০ একর জমিসহ কৃষি খামার ব্যবস্থাপনা থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন। কমিশনার হওয়ার পর মাঝেমধ্যে একান্ত পারিবারিক অনুষ্ঠানে এলেও বেশিক্ষণ এলাকায় অবস্থান না করায় অনেকে তার সম্পর্কে জানার বাইরে রয়েছে।

এর আগে আলোচিত ছাগল কাণ্ডে দেশের আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকার ছাগল কাণ্ডের মধ্যে দিয়ে আয় বহিভূত সম্পদ অর্জনের বিবরণ গনমাধ্যেমে প্রকাশিত হয়েছে। পরে তার শ্বশুরবাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আরু মিয়া বাড়িতে শশুরের ভিটায় শাশুড়িকে ১০ বছর আগে একটি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি বানিয়ে দেয়ার খবর নয়া দিগন্তসহ গণমাধ্যেমে প্রকাশিত হয়। ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ও স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর অনুরোধে তিনি এ বিলাসবহুল বাড়ি শাশুড়িকে বানিয়ে দেন বলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন আবার কমিশনার এনামুল হকের বিষয়টি সামনে আসায় বিব্রত সোনাগাজীর মানুষ।


আরো সংবাদ



premium cement