১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সরাইলের আ’লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

ইকবাল আজাদ - ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ারসরাইলের আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো: হালিম উল্লাহ চৌধুরী এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ঠাকুর, মাহফুজ আলী, মোকাররম হোসেন সোহেল ও ইসমত আলী। এছাড়া আব্দুল জব্বার, হাফেজুল আসাদ সিজার, ইদ্রিস আলী, বাবু, হারিছ, বকুল, লিমন, আব্দুল্লাহ, শরীফ ও মিজানকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসমত ও সোহেল বাবা-ছেলে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অশোক কুমার দাস জানান, মামলায় অভিযুক্ত বাকি সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

২০১২ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দলীয় বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সরাইল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ। ওই ঘটনায় সরাইল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো: রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সরাইল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ।

২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো: সাদেক মিয়াসহ আরো সাতজনের সম্পৃক্ততা বেড়িয়ে আসে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো: সাদেক মিয়ার মৃত্যু হয়।

আদালতের রায়ে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা শিউলি আজাদ সন্তোষ প্রকাশ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement