চৌদ্দগ্রামে মসজিদে ঢুকে ইমামকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, আটক ১
- চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫৮
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মসজিদে ঢুকে ইমামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে রিয়াজুল হক সজিব নামের এক যুবক।
বুধবার (৩ জুলাই) ঘটনায় জড়িত সজিবকে আটক শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে আলকরা ইউনিয়নের সাতচর উত্তর পাড়া জামে মসজিদে মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইমামের নাম হাফেজ মাওলানা বদরুল হাসান শিকদার। তিনি ইমাম ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার হাশেমদিয়া গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।
ইমামের স্ত্রী ইয়াসমিনের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, প্রায় সময় নামাজের আজান দিলে সাতচর গ্রামের মরহুম ছেরাজ মিয়ার ছেলে সাজেদুল ইসলাম সজিব স্থানীয় মসজিদে প্রবেশ করে ফ্যান চালিয়ে বসে থাকত। এ নিয়ে মঙ্গলবার মাগরিবের সময় মসজিদের ইমাম হাফেজ বদরুল হাসান সজিবকে অহেতুক ফ্যান চালাতে নিষেধ করায় বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে মাগরিবের ইমামতি শেষে হাফেজ বদরুল হাসান মোনাজাতরত অবস্থায় সাজেদুল ইসলাম সজিব দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ইমামের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সজিবের এলোপাতাড়ি আঘাতে ইমাম হাফেজ বদরুল হাসান মারাত্মকভাবে আহত হন। তাৎক্ষণিক উপস্থিত মুসল্লিরা সজিবকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়রা হাফেজ বদরুল হাসানকে উদ্ধার শেষে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি শুনেছি-মসজিদের ইমামের ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। হামলকারীকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি’।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাজেদুল ইসলাম সজিবকে আটক শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা