১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চৌদ্দগ্রামে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার, কথিত সাংবাদিকসহ আটক ১৩

চৌদ্দগ্রামে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার, কথিত সাংবাদিকসহ আটক ১৩ - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ কুমিল্লার পরিচালক ফিরোজ প্রধান।

আটকরা হলেন ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা গ্রামের মরহুম এরশাদ উল্লাহর ছেলে কথিত সাংবাদিক মো: সাদ্দাম হোসেন ওরফে জয়, কিং ছুপুয়া গ্রামের শরিফুর রহমান, ছুপুয়া এলাকা ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন মানিক, আবুল হাশেম, আখের মিয়া রাকিব, মুজাহিদুল ইসলাম, জগমোহনপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন, নাদির হোসেন, মো: মারুফ, ভাড়াটিয়া শাহাদাত হোসেন ফরহাদ, বাবুচি বাজারের ভাড়াটিয়া জজ মিয়া ও মিরশান্নী বাজার এলাকার ভাড়াটিয়া মো: মাসুদ।

তাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে মামলা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছুপুয়া এলাকায় ইসলামিয়া হোটেলে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মাদককারবারিরা অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টিম বুধবার ভোরে অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেল থেকে পালানোর সময় ১৩ জনকে আটক করে এবং একটি পলিব্যাগ উদ্ধার করে। আটকদের দেহ তল্লাশী করে ৯৫টি গাঁজার পুড়িয়াসহ মোট দুই কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলেই মাদককারবারি বলে স্বীকার করেছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গাঁজাসহ অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে মো: সাদ্দাম হোসেন (এম এস এইচ জয়) একটি দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য পরিচয় দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুচি ও ছুপুয়া এলাকায় হোটেলগুলোতে চাঁদাবাজি করে আসছিল। সম্প্রতি সে ও তার ভাই ‘ইসলামিয়া হোটেল’ নামে একটি হোটেল পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়া সে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে মহাসড়কের পাশের হোটেলগুলোর মালিক-কর্মচারীদের ধমক দিতো।
কথিত সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীসহ ১৩ জন মাদককারবারিকে আটক করায় র‌্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগী হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা। এছাড়া চোরাই তেলের ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল বলে অনেকে অভিযোগ করেন।

র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার পরিচালক ফিরোজ প্রধান বলেন, ‘গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যধির বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।


আরো সংবাদ



premium cement