১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ের আত্মহত্যা

- ছবি - নয়া দিগন্ত

নোয়াখালী পৌরসভায় বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। তারা হলেন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দু’টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার সকালে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে’র বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। সেখানে একটি মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ নিয়ে মেয়েকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। সে যেন তার স্বামীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিলেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নরেশ চন্দ্রের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় বাবার কাছে টাকা আনতে যায়। তখন দেখতে পায়, বাবার নিথর দেহ তার কক্ষে পড়ে আছে। আশেপাশে রক্ত। ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসে। তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা কক্ষ গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন। তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনী মেডিক্যালে পড়তেন। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন। বিষয়টি তিনি ভালোভাবে নেননি। এজন্য মেয়েকে ফেনী থেকে নিয়ে আসেন।

তিনি আরো বলেন, মেয়েকে বার বার বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ে কোনোভাবে ওই ছেলেকে ছেড়ে আসবেন না বলে বাবাকে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement