১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দাগনভূঞায় গৃহকর্তা মৃত্যু : লাশ উত্তোলনের আবেদন পুলিশের

মৃত আবদুল গফুর ভূঞা ও অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনীর দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের বহুতল ভবন ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টাকালে নির্যাতনের শিকার গৃহকর্তা আবদুল গফুর ভূঞার মৃত্যুতে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছে পুলিশ।

মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনকে প্রধান আসামি করে আরো ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর আগে, রোববার দাগনভূঞা আমলী আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহানা লোকমান হত্যা মামলাটি রেকর্ড করতে আদেশ দেন।

মামলায় মামুন ছাড়াও আমান উল্যাহপুর এলাকার নির্মল সাহার ছেলে দহন সাহা, রুহিনী সাহার ছেলে নির্মল সাহা ও চয়ন সাহা, জগতপুর এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে আইয়ুব আলী, কালা মিয়ার ছেলে ছেরাজুল হক প্রকাশ হক সাব ও ইকবালসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

দাগনভুঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়া দিগন্তকে জানান, ‘এ বিষয়ে আদালতে মৃত ব্যক্তির লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। মামলাটি তদন্ত করতে থানার (ওসি, তদন্ত) রাসেল মিয়াকে দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার হাসপাতাল রোডের পাঁচ তলা ভবন দখল করতে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুল গফুর ভূঞা হামলার শিকার হন বলে স্বজনদের অভিযোগ রয়েছে। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার সময় পথে তিনি মারা যান।


আরো সংবাদ



premium cement