প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন
- শাহীন আলম, দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
- ১১ মে ২০২৪, ২১:০৭
প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী (২২)। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি ইউনিয়নের সোতপুকুরিয়া গ্রামের মাঝি বাড়িতে।
শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টায় ওই তরুণী প্রেমিক পাভেল মাঝির বাড়িতে অবস্থান নেন। অভিযুক্ত পাভেল মাঝি সোতপুকুরিয়া গ্রামের হাকিম মাঝির ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের একটি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে চাকরি করেন বলে জানান ওই তরুণী।
এদিকে, তরুণীর আসার পরপরই বাড়ি থেকে সরে যান ওই যুবক। বিয়ের দাবিতে তরুণীর অনশনের খবরে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। ভুক্তভোগী ওই তরুণী রাজামেহার ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের আজিজুল মাঝির মেয়ে।
জানা গেছে, ওই তরুণীর সাথে যুবক পাভেল মাঝির চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। গত তিন মাস আগে পাভেল মাঝির বিয়ের প্রলোভনে পড়ে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেন ওই তরুণী। কথা ছিল পাভেলের সেনাবাহিনীর চাকরি স্থায়ী হলে ওই তরুণীকে ঘরে তুলবেন। এদিকে পাভেলের পরিবার এ বিয়ে মানতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন পাভেল। পরে শনিবার সকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেন ওই তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, পাভেলের সাথে আমার চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। সে আমাকে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে মেলামেশা করত। এমনকি আমার বাড়িতে এসেও আমার সাথে রাত্রি যাপন করত। এসবকিছু পাভেলের পরিবার জানত। সে একটি মসজিদের হুজুর ডেকে আমার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু সে চালাকি করে কাবিন বা কোনো কাগজপত্র করেনি। আমি তাকে খুব বিশ্বাস করতাম।
তরুণী আরো বলেন, আমার প্রবাসী স্বামী যে টাকা-পয়সা আমার কাছে পাঠাত আমি সব তার পেছনে খরচ করেছি। আমার স্বামীকে ডির্ভোস না দিলে সে নাকি আমাকে বিয়ে করতে পারবে না। তার চাপে পড়ে গত তিন মাস আগে আমার প্রবাসী স্বামীকে ডির্ভোস দিয়েছি। আমি এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। আগের স্বামীর কাছেও যেতে পারছি না, পাভেলের কাছেও ঠাই নেই, আমি বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে এসেছি। পাভেল যদি আমাকে বিয়ে না করে আমি এ বাড়িতে আত্মহত্যা করব। আমার জীবন আমি শেষ করে দেব।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পাভেলের মা বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমি এ বিয়ে মানব না। ওই মেয়ের আরো আগে কয়েকটি বিয়ে হয়েছে। আমার ছেলেও যে ভালো তা বলছি না, দুজনই খারাপ।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: ইুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি আগেই থেকেই জানতাম। মেয়ের বাবা ছেলে পক্ষের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেছে শুনেছি। আজ মেয়ে যে ওই ছেলের বাড়িতে গেছে তা আমি জানি না।
রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান মো: জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, একজন ইউপি সদস্য পাঠিয়েছি ছেলের বাড়িতে। উভয় পক্ষ নিয়ে রাতে বসে সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নয়ন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে কোনো পক্ষই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা