আদালতে তরুণীর ভ্রুণ হত্যার মামলা : সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
- সোনাগাজী (ফেনী) সংবাদদাতা
- ০৮ মে ২০২৪, ১৩:৪৭, আপডেট: ০৮ মে ২০২৪, ১৫:১১
ফেনীর সোনাগাজীর ছাত্রলীগ সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক এবং ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন ঢাকার সাদিয়া খান আদরী (২৩) নামের এক অভিনয় শিল্পী। মামলা দায়েরের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়কে গ্রেফতার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজয়কে ফেনী শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়াটার এলাকার ডানহাম গলির একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন একই ইউনিয়নের হোসেন আহম্মদের ছেলে সুমন মিয়া (৪৫), রুহুল আমিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন রনি (২২), আহম্মদ করিমের ছেলে মাহমুদুল করিম তুহিন (২১) ও মো: লিটনের ছেলে মাহাদী (২২)।
গ্রেফতার ইকবাল হাসান বিজয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফেনীর আদালতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে গত শুক্রবার (৪ মে) দৈনিক নয়া দিগন্তে ‘বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ইকবাল হাসান বিজয় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি ফেনীর পূবালী সংসদ ও রাজধানীর একটি নাট্য সংগঠনের হয়ে মঞ্চে অভিনয় করতেন এবং ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি খুলনার খালিশপুরে হলেও তিনি বর্তমানে ঢাকার আফতাবনগরে বসবাস করছেন। তিনি একজন জনপ্রিয় টিকটকার ও মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন শিমুল জানান, মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফেনী মডেল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক এবং ভ্রুণ হত্যার অভিযোগের মামলায় বিজয়কে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং এই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনার খালিসপুর রায়ের মহল আব্দুল মালেক রোডের খান হারুন উর রশিদের মেয়ে সাদিয়া খান আদরী অভিযোগ করেন, কক্সবাজারে শুটিং করতে গিয়ে আট মাস আগে ফেনীর সোনাগাজীর চর চান্দিয়া গ্রামের আব্দুল্লা আল মামুনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হাসান বিজয়ের সাথে পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক এবং বিজয় বিয়ের প্রলোভন দেয়ায় ফেনীতে এসেও তার বোনের বাসায় বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তার পরিবারসহ সবাই জানে বিজয়ের সাথে তার বিয়ে হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিজয়কে বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং সব মোবাইল নম্বার ব্লক করে দেয়ার পর আদরী বিষয়টি সবার নজরে আনেন।