লক্ষ্মীপুরে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে স্কুলশিক্ষককে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩২
লক্ষ্মীপুরে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে আক্তার হোসেন বাবু নামে এক স্কুলশিক্ষককে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে বখাটেরা নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নির্যাতনের মূল হোতা সুমন ওরফে পেঁচা সুমনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং আরো আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় অভিযোগ করেন স্কুলশিক্ষকের ভাই মাসুদুর রহমান।
নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুব আলী পোলের গোড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্কুলশিক্ষককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।
আক্তার হোসেন বাবু জেলার সদর উপজেলার পৌরসভার লাহারকান্দি এলাকার মরহুম লকিয়ত উল্যাহর ছেলে। তিনি ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক।
১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে একটি খুঁটির সাথে হাত-পা বেঁধে একটি লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন সুমন ওরফে পেঁচা সুমন নামে এক যুবক। ওই সময় পাশে বেশ কয়েকজন লোক ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দেখছেন।
নির্যাতনে তাদেরও সহযোগিতা ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত বখাটেদের গ্রেফতার দাবি জানায় এলাকাবাসী।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষকের পরিবার জানায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যান স্কুলশিক্ষক বাবু। শুক্রবার রাতে পৌরসভার আইয়ুব আলী পোলের গোড়া এলাকায় ছোট ভাই মাসুদুর রহমানের বাসায় বেড়াতে যান তিনি। ডায়াবেটিস থাকায় রাতে হাঁটতে বের হন বাবু। ওই সময় পেঁচা সুমন, সাইমন হোসেন, অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ ও সুমনসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল বখাটে ওই শিক্ষককে চোর অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে হাত-পা বাঁধে। পরে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিক্ষক পরিবারের অভিযোগ, বখাটেরা তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে।
সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. এ কে আজাদ বলেন, আক্তার হোসেন বাবুকে বেদম মারধর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত সুমন পালিয়ে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা