১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফুল বিঝু দিয়ে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বৈসাবি শুরু

ফুল বিঝু দিয়ে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বৈসাবি শুরু - নয়া দিগন্ত

খাগড়াছড়ি জেলার চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনীসহ ছোট বড় বিভিন্ন নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্য ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’। ১২ এপ্রিল শুক্রবার সকালে চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিঝুকে কেন্দ্র করে নদীগুলো হাজারো তরুণ-তরুণীর মিলনমেলায় পরিণত হয়।

পুরনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীসহ ছোট বড় সকলেই ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে নিজেদের পবিত্রতা কামনা করে। এছাড়াও এ দিনে ফুল দিয়ে ঘরের প্রতিটি দরজা মালা গেঁথে সাজানো হয়।

চাকমা সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী, ১২ এপ্রিল শুক্রবার ফুল বিঝু, ১৩ এপ্রিল শনিবার মূল বিঝু, ১৪ এপ্রিল রোববার ১ বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবে। এ সময় ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। একই সাথে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারিবৈসু, বিযুমা, বিচিকাতাল। অপর দিকে রোববার (১৪ এপ্রিল) খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইং উৎসব। এদিন ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানিখেলা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য র‌্যালি।

উল্লেখ্য, আশির দশকে মাঝামাঝি থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য জেলাগুলোতে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উৎসব পালন করে আসছে। ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিঝু নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি,আসাম, চাক ও রাখাইনসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement