বান্দরবানে ব্যাংকে লুটপাট : খোঁজ মেলেনি অপহৃত ম্যানেজারের
- বান্দরবান প্রতিনিধি
- ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২, আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১২
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও লুটপাটের পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে রুমা উপজেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখনো খোঁজ মেলেনি সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের। তাকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান জোরদার করেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ-এর ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে সেখানে থাকা সোনালী ব্যাংকে লুটপাট চালায়। ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি তারা লুট করে। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। মারধর করা হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের ভোল্টটি ভাঙচুর করে। ব্যাংকের ওই ভল্টে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা ছিল। ওই টাকা সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়েছে কি না- এ বিষয়ে সিআইডির একটি তদন্ত টিম পরীক্ষা করে দেখছে।
এদিকে রুমা উপজেলায় এ ঘটনার পর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন, চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো: সৈকত শাহীনসহ প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। উপজেলা কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেইসাথে বান্দরবানের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের মুক্তি চেয়ে রুমা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে। অন্যদিকে রুমা উপজেলার সাথে বান্দরবান সদরের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ- এর তৎপরতা কমিয়ে আনতে গত ৫ মার্চ শান্তি কমিটির সাথে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকের মাত্র এক মাসের মাথায় সংগঠনটি ব্যাংকে হানা দিয়ে লুটপাট চালায়। সংগঠনটির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকে হামলার পর চলমান শান্তি আলোচনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় মনে করছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা