১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনাগাজীতে নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে স্বামী

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদকাসক্ত রিকশাচালক মাদকের টাকা জোগাড় করতে না পেরে ছুরি পেটের ভেতর ডুকিয়ে এবং রগ কেটে নিজ স্ত্রী হাজেরা খাতুন (২৮) ও ছেলে ইমরান হোসেনকে (৭) করে। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ঘরের আড়ার সাতে ঝুলিয়ে রাখে। অপর সন্তানকেও মুমূর্ষ অবস্থায় বিছানায় ফেলে যায়।

নিহতের মা জাহানারা বেগম গতকাল সোমাবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ এজাহার নামীয় দুইজন এবং সন্দেহজনক দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহাম্মদপুর এলাকার কাজীপাড়ার রিকশা চালক মো: সোহেল একজন দিনমজুর হলেও সে সবসময় নেশা করতো। রিকশা চালিয়ে সারা দিন যা আয় হত তার অধিকাংশই তার মাদক গ্রহণে ব্যয় হতো। অনেক সময় সে নিজেও গাজা বিক্রি করতো বলে স্থানীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এজন্য প্রতিনিয়ত সংসারে অভাব আর ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। ঘটনার দিনও নেশার টাকার জন্য স্ত্রী হাজেরার সাতে ঝগড়া লেগে যায় এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বিভিন্ন সময় অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে হত্যার হুমকি দেয়। ওই দিন টাকা আদায় করতে না পেরে সে ক্ষোভ নিয়ে বাইরে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, নেশাগ্রস্থ হয়েই ফিরে এসে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সে। ছোট সন্তান অবস্থা দেখে ফেলায় তাকেও সে হত্যা করে। না হয় এমন হত্যাকাণ্ড কোনো সুস্থ লোক করতে পারে না।

হাজেরার মা জাহানারা বেগমের দাবি, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার মেয়ে হাজেরা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর গলায় রশি বেঁধে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে এবং নাতি ইমরানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ রেখে পালিয়েছে সোহেল। তার ছোট নাতিকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়।

আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরন জানান, কোনো সুস্থ মানুষ এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করতে পারে না। সোহেল নেশাগ্রস্থ হয়েই এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: খালেদ হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে স্বামী সোহেল পলাতক রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতার করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুরে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহাম্মদপুর এলাকার কাজীপাড়া এলাকায় পেটে আঘাত করা ছোরাসহ ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ হাজেরা খাতুন (২৮) ও বিছানা থেকে তার ছেলে ইমরান হোসেনের (৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক বছর বয়সী ছোট ছেলে ইরফান হোসেনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নাটোর পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত কাঁঠালিয়ায় মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরে মৃত্যু সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার ২ আরো দুই সদস্য বাড়িয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন রাবির নতুন জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে অপরাধ না করেও আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে নেমে শিশুর মৃত্যু ধূমপান করতে নিষেধ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বড় বোনের বৌভাতের গিয়ে দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত কোটালীপাড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত চুয়াডাঙ্গা দর্শনায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সকল