২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮ আশ্বিন ১৪৩০, ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

সোনাগাজীতে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে স্বামী পলাতক


ফেনীর সোনাগাজীতে পেটে আঘাত করা ছোরাসহ ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ হাজেরা খাতুন (২৮) ও বিছানা থেকে তার ছেলে ইমরান হোসেনের (৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক বছর বয়সী ছোট ছেলে ইরফান হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহাম্মদপুর এলাকার কাজীপাড়ায় এ ঘটনায় ঘটে। ঘটনার পর থেকে হাজেরার স্বামী মো: সোহেল পলাতক।

হাজেরার মায়ের দাবি, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার মেয়ে হাজেরা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর গলায় রশি বেঁধে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে এবং নাতি ইমরানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ রেখে পালিয়েছে সোহেল। তার ছোট নাতিকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে যৌতুকের দাবিতে হাজেরার সাথে তার স্বামী রিকশাচালক মো: সোহেলের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। সোমবার সকালেও পারিবারিক কলহের জেরে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর সোহেল রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।

স্থানীয়দের ধারণা, সকাল ১০-১২টার মধ্যে কোনো এক সময় বাড়িতে এসে সোহেল তার স্ত্রীকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর গলায় রশি বেঁধে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় সন্তানরা ঘটনা দেখে ফেলায় বড় ছেলেকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ছোট ছেলেকে শ্বাসরোধ ও কিছু খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে মৃত ভেবে লাশ ঘরে খাটের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। হত্যাকান্ডের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শত শত মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমান।

আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরন বলেন, খবর পেয়ে তিনি ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দু’টি লাশ দেখে মনে হচ্ছে, তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর একজনের লাশ রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আর ছেলের লাশ খাটের ওপর পড়ে আছে। তার ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে সোহেল তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করবে।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: খালেদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের অবস্থা দেখে পরিস্কার হন যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এতে কোনো সন্দেহ নেই। হাজেরার মা বলেছে, দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক কলহের জের ধরে হাজেরার সাথে স্বামী সোহেলের বিরোধ চলছে। এরই জের ধরে সোহেল হাজেরা ও ইমরানকে হত্যা করেছে। ছোট ছেলেকেও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ ও স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ছোট ছেলেকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সোহেল পলাতক রয়েছে। বিকেলে কুমিল্লা থেকে সিআইডির একটি বিশেষ দল এসে ঘটনাস্থল থেকে হতাকাণ্ডের বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহের পর প্রাথমিক তদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দু’টি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশ, পিবিআই, র‌্যাব সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
‘গাড়ি না পাইলে আমার সোনা মানিকেগো লইয়া যামু কেমনে?’ বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু : অর্থ সহায়তা দিলেন পুলিশ সুপার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমরা মার্কিন প্রশাসনের সাথে কথা বলব : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিশ্বকাপের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭টি ভেন্যু নিশ্চিত করলো আইসিসি বিপিএলসহ বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ নাসির কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারাল ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বাস্তবায়ন শুরু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র লিভার সিরোসিস ভোগাচ্ছে খালেদা জিয়াকে বাজেট নয়, উদ্দেশ্য পূরণ হবে না বলে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না ইইউ

সকল