ইভিএমই ভোট প্রয়োগের একমাত্র সঠিক মাধ্যম : ইসি আহসান হাবিব

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো: আহসান হাবিব খান বলেছেন, এখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই (ইভিএম) ভোট প্রয়োগের সঠিক এবং একমাত্র মাধ্যম। যারা সৎ এবং কালো টাকার মালিক নন তাদের জন্য ইভিএম একটি উত্তম ভোট গ্রহণের মাধ্যম।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে কক্সবাজারে স্হানীয় পাবলিক লাইব্রেরি হল মিলনায়তনে আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীগণের আচরণ-বিধি প্রতিপালন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উদ্দেশ করে ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণ-বিধি সকলে শতভাগ পালন করবেন। যারা পালন করবে না বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন তো প্রত্যেকের হাতে মোবাইলফোন, মোবাইল ক্যামেরা ও রেকর্ডার হয়েছে। আপনারা ভিডিও, ছবি ও অডিও রেকর্ডসহ তথ্য-প্রমাণ জমা দেন, আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।

সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনৈক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ-বিধি লঙ্ঘণের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলের উদাহরণ তুলে ধরে ইসি আহসান হাবিব বলেন, আচরণ-বিধি লঙ্ঘণের যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে, তিনি যত প্রভাবশালী প্রার্থী হোক না কোনো কমিশন ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করবে না। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার এক বছর তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। এ সময়ে কমিশন ৭০০-এর বেশি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তাই সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম অজ্ঞলের আজ্ঞলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহাদৎ হোছাইন ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

এ সময় মেয়র নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, নারকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ, হেলমেট প্রতীকের প্রার্থী বাবু জগদীশ বড়ুয়া ও মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী জ্যোস্না হকসহ ১২টি ওয়ার্ডের মহিলা ও পুরুষ কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে মতামত ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো: মাহাবুবর রহমান চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়াসহ চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী। এ সময় তারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেন।