২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রাহ্মণপাড়ায় সাইনবোর্ড থাকলেও নেই কোনো পারিবারিক পুষ্টি বাগান

ব্রাহ্মণপাড়ায় সাইনবোর্ড থাকলেও নেই কোনো পারিবারিক পুষ্টি বাগান। - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সাইনবোর্ড থাকলেও নেই কোনো বাগান। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নেই কোনো তদারকি।

সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উপকরণ সহায়তা দিয়ে পুষ্টি বাগানের মাধ্যমে পুষ্টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। বসতবাড়ির আঙিনায় এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান করে সহজে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি পূরণে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে এসব পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প চালু করে সরকার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রমতে, ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ৫২০টি প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের দেড় শতক জমিতে চাষাবাদের জন্য বিনামূল্য সার-বীজ, বেড়া ও অন্যান্য উপকরণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার এ প্রকল্প দিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের পুষ্টি পূরণের যে কাজ হাতে নিয়েছে তার ভিন্ন চিত্র দেখা যায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়।

সরেজমিনে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, শুধুমাত্র পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সাইনবোর্ড আছে, কিন্তু কোনো বাগান নেই। সাইনবোর্ড ঘিরে আগাছা হয়ে আছে। কৃষি বিভাগেরও কোনো তদারকি নেই। কৃষি সম্প্রসারণ উপ-সহকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সাইনবোর্ডে কৃষকের নাম থাকলেও তারা আদৌ কৃষক কি না জানে না কেউ। কেউ কেউ ব্যবসায় করে এসব বাগানের প্রদর্শনী সাজিয়ে রেখেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগানে ধান শুকানোর জন্য জায়গা করেছি। ধান শুকানোর পর নতুন করে আবার বাগান করবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল হাসান বলেন, এখনো অনেকে বাগান তৈরি করেনি। তবে খরার কারণে অনেকে বাগান তৈরি করতে পারেনি। তবে আমরা বলে দিব অচিরেই বাগান তৈরি করতে।


আরো সংবাদ



premium cement