১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ইভিএম কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান জাকের পার্টির

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাকের পার্টির সংবাদ সম্মেলন। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখান করেছে জাকের পার্টি।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবে উপজেলা জাকের পার্টির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জুয়েল ফলাফল প্রত্যাখ্যানের এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘আমরা উপনির্বাচনে গোলাপ ফুল প্রতীকের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করি এবং জনগণের প্রচুর সাড়া পাই। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল দেখে আমরা হতভাগ। ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নিয়ে যা হলো, তা দুঃখজনক। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিলেও তা চলে যায় অন্য প্রতীকে।’

তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট প্রদান প্রশ্নবিদ্ধ। এটি হ্যাক করা যায়। এর চিপসেট পরিবর্তন করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে আমাদের কর্মীরা জানান, বিশেষ প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার পর তাদের পছন্দমতো প্রার্থীর প্রতীকের বাটন চেপে দিয়েছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে আমরা দলের চেয়ারম্যানকে অবহিত করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলাম।’

‘আমরা আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের দলের চেয়ারম্যানের দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী প্রচলিত ব্যালট অথবা হ্যাকিংমুক্ত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্লক চেইন টেকনোলোজি ও ই-ভোটিং পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাকের পার্টির সাধারণ সম্পাদক খাদেম আলমগীর শাহ, আশুগঞ্জ উপজেলা জাকের পার্টির সভাপতি গোলাম রাব্বানী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান খান।

উল্লেখ্য, এর আগে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) একই অভিযোগে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিলেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জাকের পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থী যথাক্রমে আব্দুর রশিদ সরদার ও মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক সনি।

ওইদিন দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাকের পার্টির দুই প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ। এর চিপসেট পরিবর্তন করা যায়। ভোট প্রদানকালে পছন্দের মার্কায় ভোট দিলে অন্য মার্কায় চলে যাওয়াসহ কারিগরী ত্রুটি দেখা দেয়। ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাধারণ ভোটাররা আমাদের কাছে এ বিষয় তুলে ধরেছেন।

এতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাটনে চাপ দিয়ে ভোট আরেক মার্কার হিসেবে তুলে নেয়া যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement