২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সমুদ্রে অপহ্নত ১৬ মাঝি-মাল্লা উদ্ধার, ৩ জলদস্যু আটক

সমুদ্রে অপহ্নত ১৬ মাঝি-মাল্লা উদ্ধার, ৩ জলদস্যু আটক। - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণ হওয়া ১৬ মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন জলদস্যু আটকসহ উদ্ধার করা হয়েছে জলদস্যুদের বিভিন্ন অস্ত্র ও সরঞ্জাম।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক মীর জানান, ২৯ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের নাজিরার টেক এলাকা থেকে ১৬ মাঝি-মাল্লাসহ এফবি ভাই ভাই-৩ নামের একটা মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। ট্রলারটি সমুদ্র থেকে মাছ ধরে উপকূলে ফিরছিল। এ ঘটনায় ট্রলার মালিক কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে শাহাদত হোসেন পরদিন কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয় যে রাত ৯টার দিকে ট্রলারের মাঝি তাকে ফোন করে জানায়, তারা সমুদ্রের নাজিরারটেক বরাবর পৌঁছান এবং কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের দিকে আসছেন। এরপর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ট্রলারটি আর উপকূলে ফিরেনি এবং মাঝির সাথেও ফোনে সংযোগ করতে পারেননি।

মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরাজুল করিম তার দল নিয়ে রাতে ভ্রাম্যমাণ দায়িত্বকালে তথ্য পায় যে ওই ট্রলারটি ছিনতাই ও মাঝি-মাল্লা অপহরণকাজে জড়িত কয়েকজন জলদস্যু মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকায় মঞ্জুর নামের এক জলদস্যুর বাড়িতে অবস্থান করছে। বিষয়টি তিনি মহেশখালী থানায় জানালে তারা ঘটিভাঙ্গার ওই জলদস্যুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় কুতুবজোমের তাজিয়াকাটা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাফরের ছেলে মোহাম্মদ কাইছার (১৯) ও আব্দুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ সোনা মিয়াকে (১৯) ওই বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।

তিনি আরো জানান, এ সময় দু’টি দেশীয় একনলা বন্দুক, একটি দেশীয় লাইটার গান (এলজি), দু’টি কিরিচ, একটি দা, ১০টি মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি দু’টি ও মাছ ধরার ট্রালারের ইঞ্জিনের সেলফ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই জলদস্যু কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার শাহাদত হোসেনের মালিকানাধীন ট্রলারটি মাঝি-মাল্লাসহ ছিনতাই করার দায় স্বীকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ট্রলাটি উদ্ধার করা হয়, একই সাথে উদ্ধার করা হয় ট্রলারে থাকা অপহৃত ১৬ জন মাঝি-মাল্লাকে। অভিযানের একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে ওই এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২৬) নামের আরো এক জলদস্যুকে আটক করে পুলিশ।

মহেশখালী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়া কক্সবাজার থানায় ট্রলার মালিকের পক্ষ থেকে ডাকাতির ঘটনায় আলাদা আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement