ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচন : খোঁজ মিলছে না স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মেহেরিন স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে তার নিখোঁজের বিষয়টি জানান।

আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা বলেন, ‘আমার স্বামী আশুগঞ্জ-সরাইল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। বাসার লোকজন জানায়, শুক্রবার বিকেলে তিনি মোবাইল ফোন বাসায় রেখে বেড়িয়ে আর বাসায় ফেরেননি। তিনি কোথায় এবং কী অবস্থায় আছেন তা বুঝতে পারছি না।’

‘গত বুধবার আমার স্বামী আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণা-প্রধান মুসা মিয়াকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ও এলাকার স্বনামধন্য সালিশকারক। পরে জানতে পারি গ্রাম্য ঝগড়ার মীমাংসিত ঘটনার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই দিন থেকে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ক আমার ছোট ভাই শাফায়াত সুমনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।’

তিনি এ ব্যাপারে শিঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান।

মেহেরুন্নেসা মেহেরিন আরো বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি করে হয়রানি করছে। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা যাওয়া করে। বাসায় যেন কোনো লোক আসতে পারে না সেজন্য কয়েকজন লোক বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কাজের লোক এলেও ছবি তুলে রাখে, ভিডিও করে রাখে। এভাবে তো আর সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। প্রচারণার ক্ষেত্রেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। ভোটকেন্দ্রে যাদেরকে এজেন্ট দেবো, তাদেরকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আজাদ রহমান বলেন, ‘কোনো ব্যাপারে আবু আসিফ আহমেদের পরিবার লিখিত দেয়নি। তার বাড়ির সামনে যে লোকজনের ছবি তোলার কথা বলা হচ্ছে, তা আমদের জানা নাই। অন্য কোনো সংস্থার লোকজন হতে পারে।’

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা পাঁচবারের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাষানী ও জাকের পার্টি মনোনীত জহিরুল ইসলাম জুয়েল। এছাড়া জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা প্রতীক বরাদ্দের পর বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।