২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ

সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ - ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তে 'বিজিবির টহল দল লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ' ঘটেছে বলে জানা গেছে। সীমান্ত এলাকার মাদক কারবারিরা এই গুলিবর্ষণ করেছে বলে বিজিবি জানিয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির কেউ আহত না হলেও সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় এক প্রেস রিলিজে বিজিবির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।

জানা যায়, এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ দুই মাস পর হঠাৎ করে রাতের বেলায় সীমান্তে গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে।

প্রেস রিলিজে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্ত এলাকায় ২০ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে দুই দল ইয়াবা কারবারির মধ্যে ইয়াবা কেনা-বেচা নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বালুখালী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য পরে ঘুমধুম ও পালংখালী বিওপির বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ইয়াবা কারবারিরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে বেশ কিছু সময় বিজিবি-ইয়াবা কারবারি দলের মধ্যে গোলাগুলি চলে। একপর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলে যায়।

বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবির কেউ আহত হয়নি তবে ইয়াবা কারবারিদের কোনো সদস্য আহত বা নিহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। বর্তমানে সীমান্ত এলাকার বিজিবির সকল বিওপিগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সন্ধ্যায় পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্তে ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে বিজিবির টহল দল লক্ষ্য করে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে গুলিবর্ষণের ঘটনা। পরে বিজিবির স্থানীয় বিওপির সৈনিকরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে চলে যায়।

তিনি জানান, গুলিবর্ষণকারীরা মিয়ানমারের নবী হোসেন নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা সীমান্ত কেন্দ্রিক ইয়াবা কারবারে জড়িত।


আরো সংবাদ



premium cement