নোয়াখালীতে কলেজছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও-ছবি ছড়িয়ে চাঁদা দাবি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীর (১৮) অশ্লীল ভিডিও-ছবি ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে প্রেমিকসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, জেলার সুবর্ণচর উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের মো: ইউনুছের ছেলে তানভীর আহম্মেদ শুভ (২২) একই ইউনিয়নের কাজী সাইফুল ইসলামের বাড়ির হাজী মো: সাইফুল ইসলামের ছেলে জুলফিকার ইসলাম নাঈম (২০) ও সদর উপজেলার দালাদরাপ ইউনিয়নের খুরশিদ আলমের বাড়ির আবদুল মালেকের ছেলে আরিফুল ইসলাম সৈকত (১৯)।

জানা গেছে, ভিকটিম (১৮) একই কলেজে পড়ার সুবাদে আসামি তানভির আহমেদ শুভর (২২) সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুবাদে শুভ ভিকটিমকে কৌশলে ফসলিয়ে ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সাহায্যে নগ্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে তার মোবাইলফোনে পাঠাতে বলে। ভিকটিম আসামির প্রলোভনে প্রলুব্দ হয়ে নগ্ন ভিডিও আসামিকে পাঠালে আসামি ভিকটিমের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আসামি শুভ ভিকটিমের নগ্ন ছবি-ভিডিও আরিফুল ইসলাম সৈকত (১৯) ও জুলফিকার ইসলাম নাঈমসহ (২০) কয়েকজন যুবককে পাঠায়। ভিকটিম বিষয়টি জানতে পেরে শুভর সাথে যোগাযোগ করিলে শুভ ভিডিও এবং ছবি ডিলেট করতে প্রেমিকার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। গত রোববার ভিকটিম সদর উপজেলার মাইজদী পাবলিক কলেজ মাঠে উপস্থিত হলে সেখানে সৈকত ও নাঈমকে দেখতে পায়। একপর্যায়ে ভিকটিমের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো: শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি তানভীরের হেফাজত থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এজাহার দায়ের করেছেন। আসামিদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।