১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুরাদনগরে ভারতীয় নাগরিককে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক ও ওয়ারিশ সনদ দেয়ার অভিযোগ

মুরাদনগরে ভারতীয় নাগরিককে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক ও ওয়ারিশ সনদ দেয়ার অভিযোগ - ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক ভারতীয় নাগরিককে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ, ওয়ারিশ সনদ ও নাগরিক সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনির কাছে এমন একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল হওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।

মুরাদনগর ইউনিয়নর পরিষদ কী করে একজন ভারতীয় নাগরিককে জন্ম সনদ, ওয়ারিশ সনদ ও নাগরিক সনদ প্রদান করল? এমন অভিযোগে এলাবাসীর অনেকে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কাকরাবন গোমতী থানার রাজধরনগরে ১৯৬১ সালে জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন হারাধন চন্দ্র দাস। ভারতে জন্মগ্রহণ ও ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রাপ্ত; যার ভারতীয় পাসপোর্ট নম্বর আর-৭৫৮৯৫০৩ ও ভারতের পিন নম্বর ৭৯৯০১৩। ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা দেখিয়ে মুরাদনগর উপজেলার ১৩ নম্বর মুরাদনগর ইউয়িন পরিষদের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জালিয়াতি করে একটি ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ (নম্বর : ১৯৫৮১৯৩৮১৫৪১০৯১৬৭), একটি নাগরিকত্ব সনদ (নম্বর : ২০২২১৯১৮১৫৪০১১৩৮৮) ও একটি ওয়ারিশ সনদ (নম্বর ২০২২১৯১৮১৫৪০০১১১৮) গ্রহণ করে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এমন অভিযোগ এনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার করিমপুর গ্রামের দাস বাড়ির মৃত গয়াচরণ দাসের ছেলে মাখন চন্দ্র দাস মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. কবির আহামেদকে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কোনো ব্যক্তির জন্মসনদ থাকলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও যেহেতু বাংলাদেশে পাসপোর্ট তৈরি করা যায় তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সক্রীয় হয়ে উঠতে পারে মানবপাচারকারীরা। ভারতীয় নাগরিকদের ভুয়া সনদ তৈরি করে মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জনে জড়িত থাকতে পারে ওই ইউনিয়ন পরিষদের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা।

এ বিষয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. কবির আহামেদ বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। যেহেতু এটি একটি টেকনিক্যাল বিষয় সেহেতু তদন্তের গভীর পর্যন্ত যেতে কিছু সময় লাগবে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, আমরা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সে অনুযায়ী তদন্তের কাজ চলছে। বিষয়টি রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। তাই আগে তদন্ত হোক, পরে সবকিছু জানানো হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র যেন না করতে পারে সে জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল