২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কক্সবাজার সৈকতের গুপ্তখালে ১০ ঘণ্টায় ৩ শিশুর মৃত্যু

কক্সবাজার সৈকতের গুপ্তখালে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে - প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের গুপ্তখালে পড়ে ১০ ঘণ্টায় তিনজন শিশুর (স্কুলছাত্র) করুণ মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে তিনজনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তানভীর উল হক তামীমের লাশ উদ্ধার করা হয় সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এবং অন্য দুইজনের লাশ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভোরররাতে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট ও নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে।

সৈকতে জেলা প্রশাসনের নিয়োগকৃত বীচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুব আলম বলেন, সোমবার রাতে সাগরের দুটি পয়েন্টে মৃতদেহ ভাসতে দেখে লাইফগার্ডের সদস্যরা মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ও পরে স্বজনদের কাছে দেয়া হয়।

মৃতরা হলো- কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়ার বাসিন্দা মুফিজ আলমের ছেলে মো: জায়েদ (৫) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াদ (৬)।

কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস আই এম আকতার কামাল বলেন, ‘সোমবার বিকেলে যখন জোয়ার আসে তখন সমুদ্রের পাড়ে বাড়ি হওয়ায় এ দুই শিশু জোয়ারের পানি দেখতে যায় এবং গুপ্তখালে পড়ে তারা নিঁখোজ হয়। অবশেষে রাতে দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, একটি লাশ পাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। ঘণ্টা ব্যবধানে আরেকটি লাশ পাওয়া যায়। সেই লাশটি দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তামীমের বাড়ি কক্সবাজার শহরের লারপাড়ায়।

সৈকতের উদ্ধারকর্মীরা জানান, প্রতি বর্ষা মৌসুমে সৈকতে একাধিক গুপ্ত খাল তৈরি হয়। সাধারণভাবে এই খাল বুঝা যায় না। কেবলমাত্র জীবন দিয়েই এই খালের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।


আরো সংবাদ



premium cement