২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নবীনগরে থানার সামনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ আহত ৮

নবীনগরে থানার সামনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ আহত ৮ - নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে থানা গেটের সামনে শনিবার দুপুরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন পুলিশসহ কমপক্ষে আাট জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে।

জানাযায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, নবীপুর ও পৌরসভার আলমনগর গ্রামের যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাস যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শ্রীরামপুর গ্রামে সিএনজি আটক করে নবীপুর গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে শাওনকে মারধর করে আলমনগর গ্রামের মেহেদী ও রবিনসহ কয়েকজন যুবক। এ সময় কাউসার মিয়া থানার ভিতর একটি শালিশে ছিলো। সংবাদ পেয়ে কাউসার মিয়া থানা থেকে বেড়িয়ে থানার গেইটে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষের রাজিব ও রবিনসহ আরো কয়েকজনের সাথে দেখা হয়। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই থানার গেইটের ভিতর দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যায়। ওই সময় পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে পুলিশসহ কয়েজন আহত হন।

আহতদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ নবীনগর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর, দুই পক্ষ আবারো হাসপাতালের ভিতর সংঘর্ষে জড়িয়ে গেলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় নবীনগর থানার এসআই আবদুল আজিজ, এসআই, আল মামুন, এসআই আশরাফুল ইসলাম, নবীপুর গ্রামের শাওন (২১), আবু কাউসার (৩৮), সবুর মিয়া (২৪), লাপাং গ্রামের পাভেল (২৮), আলমনগর গ্রামের রাজিব (৩১), গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মেহেদীসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ বলেন, একটি সামাজিক সালিশি সভায় কাউসার থানায় আসে। এসময় হঠাৎ করে তার মোবাইলে একটি ফোন আসে, তার ভাগিনাকে কে বা কারা সিএনজি থেকে নামিয়ে মারধর করছে। তাৎক্ষণিক কাউসার থানা থেকে বের হতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের তিন এসআইসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হলে দ্বিতীয় দফায় আবারো তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement