চান্দিনায় এক এসআইকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৫৫
কুমিল্লার চান্দিনা থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সুলতানকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চান্দিনা থানার সামনে ওই মানববন্ধন করেন শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও কাঙ্ক্ষিত টাকা দিতে না পারায় ভিকটিমের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ সময় অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে দ্রুত অপসরণসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই চান্দিনার তুলাতলী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মারাত্মক আহত হন ওই গ্রামের নূরুল আমিন সোহাগ, তার পিতা রুহুল আমিন ও ছোটভাই নাঈম। ঘটনার পর সোহাগের স্ত্রী রোজিনা আক্তার থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই সময় প্রতিপক্ষের লোকজন থানায় কাউন্টার মামলা করতে গেলে থানার ওসিসহ তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় মামলা গ্রহণ করেননি।
পরে প্রতিপক্ষ আদালতে গিয়ে পৃথক ২টি মামলা করেন। ওই ২টি মামলারই তদন্তভার চান্দিনা থানাকে দেয় আদালত। এর মধ্যে একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সুলতান সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ভিকটিম সোহাগের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সোহাগ এক লাখ টাকা দিতে না পারায় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ভিকটিমের বিরুদ্ধেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আহত নূরুল আমিন সোহাগ বলেন, আমার মাথায় ৪টি কোপ লাগে। আমাকে রাজধানীর শেখ হাসিনার বার্ন ইউনিটে ২১২টি সেলাই দেয়া হয়। এ পর্যন্ত আমার মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আমার বিরুদ্ধে পরপর দু’টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় সঠিক রিপোর্ট দেয়ার কথা বলে এসআই সুলতান আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি গত ১৪ অক্টোবর তাকে ২০ হাজার টাকা দেই। তখন এসআই সুলতান বলেন, ‘ওই পক্ষ তো দুই লাখ দিতে রাজি’। আমি ‘আর কোনো টাকা দিতে পারবো না’ বলে থানা থেকে চলে আসি।
পরে গত ১৯ অক্টোবর এসআই সুলতান আমাকে বলেন, ‘সঠিক রিপোর্ট দিয়েছি, আরো টাকা দিতে হবে’। আমি বাধ্য হয়ে ২০ অক্টোবর সকালে আরো ৫ হাজার টাকা দেই। পরবর্তীতে আদালত থেকে ওই রিপোর্ট এনে দেখি এসআই সুলতান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট দেয়ায় বিজ্ঞ আদালত আমার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে! আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও এসআই সুলতানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সুলতান বলেন, ‘উভয় পক্ষের মারামারিতে সোহাগ মারাত্মক আহত হন সেটা বাস্তব। তবে প্রতিপক্ষের লোকজনও আহত হয়েছেন। রিপোর্টটি তাদের পক্ষে যায়নি বলেই তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।’
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘এসআই সুলতানের বিরুদ্ধে ভিকটিম সোহাগের অভিযোগটি জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা