২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোটার তালিকায় মৃত অর্জুন হাইকোর্টের আদেশে জীবিত, করবেন নির্বাচন

অর্জুন দাস - ছবি : সংগৃহীত

ভোটার তালিকায় ৯ বছর আগে মৃত দেখানোর কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছিলেন না মিরসরাইয়ের অর্জুন দাস। হাইকোর্টের আদেশে জীবিত অর্জুন এখন নির্বাচন করতে পারবেন।

আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মিরসরাইয়ের ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়পত্র জমা নিলেও ভোটার তালিকায় নাম কাটা থাকায় ২১ অক্টোবর তা বাতিল করে দেন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যান অর্জুন দাস।

হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ রোববার (২৪ অক্টোবর) শুনানি শেষে অর্জুন দাসকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে আদেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধুম গ্রামের মৃত সুধীর চন্দ্র দাসের ছেলে অর্জুন চন্দ্র দাস। তিনি আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ধুম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ১০ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে নির্বাচনী এলাকার ভোটারের তালিকার কপি সংগ্রহ করতে গিয়ে তালিকায় ‘২০১২ সালের ২৫ মার্চ অর্জুন মারা গেছেন’ বলে উল্লেখ রয়েছে দেখতে পান। ধুম ইউনিয়নের ধুম গ্রামের (৯ নম্বর ওয়ার্ডের অংশ) তালিকায় ‘৩৩৫ নম্বর সিরিয়াল কর্তন করা হয়েছে’ লেখা আছে। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানান।

অর্জুন চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স, স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র, ট্যাক্স আদায়ের রশিদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আমি জীবিত লেখা রয়েছে। আমি জীবিত ও সব ধরনের কাজকর্ম করে আসছি। শুধু তাই নয়, ২০১৭-২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়া-আসা করেছি। অথচ ভোটার তালিকায় ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আমি মারা গেছি উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর আমি হাইকোর্টে মামলা করলে হাইকোর্ট আমাকে জীবিত ঘোষণা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।’

হাইকোর্টে অর্জুনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টবারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট কাইয়ুম হোসেন নয়ন ও অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা প্রমুখ।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক হোছাইন বলেন, ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় অর্জুন দাসের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের কোন আদেশ এখনো আমার কাছে আসেনি। আদেশের কপি হাতে আসলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement