চৌমুহনীতে সহিংসতার পর বেগমগঞ্জের ওসি বদল
- মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস
- ২২ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৫২, আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৫৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও দু’জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে কামরুজ্জামান সিকাদারকে বদলির অনুমতির জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। বর্তমানে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কারণে বেগমগঞ্জ থানা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো: শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদারকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে মীর জাহেদুল হক রনিকে পদায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার চৌমুহনীতে জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা মিছিল বের করেন। এ সময় চৌমুহনী কলেজ রোডে পাঁচ-ছয়জন মুসলিম তরুণকে পিটিয়ে আহত করা হচ্ছে মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়ে শহরে। এরপর বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা চৌমুহনী কলেজ রোডসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় চৌমুহনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যতন সাহা (৪২) নামের একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। তিনি কুমিল্লা জেলার গবিন্ধপুর গ্রামের মনোরঞ্চন সাহার ছেলে। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে এলাবাসী জানান, আতঙ্কে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ দিকে চৌমুহনী রেল গেটে পুলিশ, আওয়ামী লীগ-যুবলীগ একত্রিত হয়ে মুসল্লিদের ধাওয়া করলে উভয়ের মাঝে আবারো সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় চৌমুহনী বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেগমগঞ্জ থানার ওসি ও চার পুলিশসহ ২৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি ১০ রাউন্ড গুলি ও ছয় রাউন্ড কাদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা