২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফেসবুক লাইভে স্ত্রী খুনের মামলায় টুটুলের মৃত্যুদণ্ড

ফেসবুক লাইভে স্ত্রী খুনের মামলায় টুটুলের মৃত্যুদণ্ড - ছবি : সংগৃহীত

ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ফেসবুকে লাইভে এসে তাহমিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে তার স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলের ফাঁসির আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা।

আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা। রায়ে টুটুলকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে টুটুলকে স্বাভাবিক দেখা গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ, বাদিপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু, আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ টুটুলের অপরাধ প্রমানে সক্ষম হয়েছে। এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছে।

বাদিপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, কেউ অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ রায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মামলার বাদি তাহমিনার বাবা সাহাবউদ্দিন মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলার বাদি নিহতের সাহাব উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের শুরু হয়। এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক টুটুলকে অভিযুক্ত করে চার্জগঠন করা হয়। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো: ইমরান হোসেন গত ১১ নভেম্বর টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল স্ত্রী তাহমিনাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওবায়দুল হক টুটুল। এ ঘটনায় সাহাব উদ্দিন বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা
দায়ের করেন।

পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা টুটুল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনেরমেয়ে তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের তাফান্নুন আরোয়া মায়োস নামে দেড়বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল সবার কাছে মাফ চান এবং ঘটনার জন্য নিজেই দায়ী বলে স্বীকার করেন।


আরো সংবাদ



premium cement