২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের শঙ্কা আর উৎবেগ : নিরপেক্ষতার আশ্বাস প্রশাসনের

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের শঙ্কা আর উৎবেগ : নিরপেক্ষতার আশ্বাস প্রশাসনের - ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচন প্রার্থীদের মধ্যে অজানা শঙ্কা আর উৎবেগ উৎকণ্ঠায় শেষ সময় পার হচ্ছে। শনিবার প্রচারণার শেষ দিন। মেয়র ও কমিশনার পদে স্বদলীয় একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী সোমবার সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে মেয়র ও কমিশনার পদে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ! প্রার্থীদের নির্বাচনী গণসংযোগে সাধারণ ভোটারদের কোনো সাড়া না মেলায় বহিরাগতরা এসে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গণসংযোগের পাল্লা ভারী করছেন এবং শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দিচ্ছেন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আর উৎবেগ বেড়েই চলেছে। গত বৃহস্পতিবার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য জেলা ও থানা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এসে প্রার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করলেও মাঠ পর্যায়ে চিত্র ভিন্ন। ভোটের আগের রাতে সকলের সব হিসাব নিকাশ পাল্টে যেতে পারে। একই দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কেউ কাউকে ছাড় না দিতে পারে। তাই প্রার্থীদের শঙ্কার শেষ নেই।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র প্রার্থী আবু নাছের ও হাফেজ হিজবুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন, আমরা খবর পেয়েছি, নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগেই বহিরাগত কয়েক হাজার সন্ত্রাসীকে পৌর এলাকায় নিয়ে আসা হবে। তাদের নিজ নিজ ভলেন্টিয়ার কার্ড দিয়ে মাঠে নামিয়ে এলাকায় ভীতি ছড়ানো হবে। ইতোমধ্যে ভোট ডাকাতির জন্য ৯ ইউনিয়নের ৯ জন চেয়ারম্যানকে পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ভোট ডাকাতির দায়িত্ব দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিয়ে সার্বিক পরিবেশ কুলুষিত করে কেন্দ্র দখল করে ভোটাধিকার হরণ করবে। সাধারণ ভোটারেরা আতঙ্ক থাকলে কেন্দ্রে যাবে না বলছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডে ২৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর দুটি ওয়ার্ডে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (নৌকা) প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। স্বতন্ত্র বিদ্রোহী মেয়রপ্রার্থী হিসেবে (জগ) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ সেলিম।

অপর স্বতন্ত্র বিদ্রোহীপ্রার্থী হলেন- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু নাছের (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে (হাতপাখা) নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন হাফেজ হিজবুল্লাহ।

নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, পৌর শহরে যে উন্নয়ন আমরা করেছি তাতে কেন্দ্র দখল করার প্রয়োজন হবে না। তাদের কথার কোনো ভিত্তি নেই।

উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো: মাইনুল হক বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। আজ ইভিএম ভোটের ট্রায়াল দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশী কেএনএফ সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতাসহ কারাগারে ৭ স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল রাজশাহীর পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক দুমকিতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সভাপতির নির্দেশে ক্লাস চালু সিদ্ধিরগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার

সকল