২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বান্দরবানে ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

বান্দরবানে ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে - ছবি : নয়া দিগন্ত

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যায় বান্দরবান সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদ- এই চারটি উপজেলার শত শত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। জেলার সাংগু-মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরো জেলায় ১৪০টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরের তেরোটি আশ্রয় কেন্দ্রে ইতিমধ্যে আড়াই হাজার লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো পাহাড়ি ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদম উপজেলায় সড়ক ও পাহাড় ধস দেখা গেছে। এ ছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় আলিকদম থানচি উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, অব্যাহত ভারী বর্ষণে বান্দরবানে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত এলাকাগুলোতে বন্যার পানি ক্রমশ বাড়ছে। ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

বান্দরবানের মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ বছর বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি এবং পাহাড় ধসের শঙ্কা বাড়ছে।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপজেলাগুলোতে পাহাড় ধসে সড়ক, ঘরবাড়ি এবং বৃষ্টিতে সড়ক ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ঝুঁকিতে থাকা বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement