২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাহাড় ধসে নিঃস্ব উখিয়ার মোহাম্মদ আলী

পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়া মোহাম্মদ আলীর ঘর - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রতিবছর বর্ষা এলেই কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সাধারণ চিত্র হয়ে দাঁড়ায় পাহাড় ধস। পাহাড় ধসে প্রতি বছরই ক্ষতির মুখোমুখি হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বছর পাহাড় ধসে এমনই একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী জুম্মা পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী।

পাঁচদিনের টানা বৃষ্টির পর গত ২৮ জুলাই দুপুর ১টায় আকস্মিকভাবে পাহাড় ধসে পড়ে মোহাম্মদ আলীর ঘরের উপর। অতি বৃষ্টির কারণে এই সময় তারা সবাই ঘরেই ছিলেন। পাহাড় ধসের ফলে মাটির প্রচণ্ড চাপে ঘরের দেয়ালের একপাশ ভেঙ্গে পড়ে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাটিতে ঢেকে যায় ঘরের এক পাশ।

দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ আলীর এক মেয়ে মাটি চাপা পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় মোহাম্মদ আলী।

নয়া দিগন্তের কাছে মোহাম্মদ আলী বলেন, 'করোনাকালীন লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ে আছি দীর্ঘদিন। আমি পেশায় একজন দিনমজুর। করোনার কারণে সব দিকে কাজ বন্ধ থাকায় আর কাজ করতে পারিনি।'

মোহাম্মদ আলী জানান, কর্মহীন হয়ে পড়ায় ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ঋণের টাকাতেই ঘরটি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পাহাড় ধসে তার আশ্রয়ের অবলম্বনটুকু হারিয়েছেন তিনি।

এদিকে উপার্জন না হওয়ায় পরিবারসহ অনাহারেই থাকছেন বলে জানান মোহাম্মদ আলী।

স্থানীয়রা বলছেন, চার মেয়েসহ ছয়জনের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় দিনমজুর মোহাম্মদ আলীকে। মহাজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে ঘরটি তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু পাহাড় ধসে সেটিও বিলীন হয়ে গেছে।

মনখালী সমাজ কল্যাণ ছাত্র সংসদের সভাপতি সাইফ উদ্দীন রুবেল বলেন, এ পরিস্থিতিতে যারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা খুবই অল্প সময়ে
প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ও সার্বিক সহযোগিতায় পেয়েছেন কিন্তু মোহাম্মদ আলী কোনো ভাবে এখনো কিছু পাননি।

এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ মুছা বলেন, মোহাম্মদ আলী সর্বস্ব হারিয়ে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমতাবস্থায়
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement