মহাসড়কে বাসের বিকল্প পিকআপ-মাইক্রো-সিএনজি

করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে ঈদ পরবর্তী ‘কঠোর লকডাউনে’ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বাসের বিকল্প চলছে পিকআপ-মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশা।

মহাসড়ক জুড়ে ওইসব যানবাহনে যাত্রীরা ছুটে চলছে এক উপজেলা থেকে আরেক জেলা-উপজেলা থেকে আরেক জেলা-উপজেলায়।

পণ্যবাহী পিকআপ-মাইক্রোবাস-মারুতি ও সিএনজি অটোরিকশায় দ্বিগুন যাত্রী নিয়ে তিনগুন ভাড়া আদায় করছে চালকরা। যাত্রীদের কেউ কেউ অতিপ্রয়োজনে যাতায়াত করলেও অধিকাংশরাই ছুটে চলছেন ঈদের দাওয়াতে।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার, চান্দিনা ও মাধাইয়া বাস স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। পুলিশের টহল গাড়ি স্টেশনে থামলে কিছুক্ষণের জন্য ওইসব যানবাহন সরে গেলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারো স্টেশন দখল।

চান্দিনা বাসস্টেশন এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী রুশিয়া বেগম জানান, ‘বোনের বাড়িতে ঈদের দাওয়াতে পরিবার নিয়ে ইলিয়টগঞ্জ যাচ্ছি’।

তিনি অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, ‘লকডাউনে বাস নাই, জনপ্রতি ২০ টাকা বাস ভাড়ার পরিবর্তে এখন ৬০ টাকা ভাড়ায় সিএনজিতে উঠছি’।

পিকআপচালক রুবেল মিয়া জানান, ‘আমি ক্যান্টনমেন্ট থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত চালাইতাছি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের যাত্রীরাই বেশি উঠতাছে’।

লকডাউনে কেন যাত্রী বহন করছেন? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ‘রোডে যাত্রীর অভাব নাই, তাই বের হইছি। আমরা না নিলে মাইক্রোবাস-মারুতি তারা তো নিবে’।

এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) জিয়াউল চৌধুরী জানান, ‘আমরা মহাসড়কের চেকপোস্ট করছি। এছাড়াও আমাদের টহল টিম আছে’।

এতো কিছু করার পরও বাস স্টেশনগুলোতে এমন চিত্র কেন? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমি এখনি টহল টিম পাঠাচ্ছি’।