কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কাদের মির্জাকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দেয়া ৬০ ঘণ্টার হরতাল শেষে আবারো আল্টিমেটাম দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিব আহসান আলালের ওপর কোম্পানীগঞ্জের অপরাজনীতির হোতা আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকা ৬০ ঘণ্টা অবরোধ সফল করার জন্য ও দলীয় নেতাকর্মীসহ অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থনের জন্য সকল শ্রেণীর মানুষকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, বুধবারের মধ্যে সংঘঠিত ঘটনায় মামলা গ্রহণ করে আব্দুল কাদের মির্জাসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আগামী বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ, উপজেলার সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিটন,সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিব আহসান আলাল, যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী আরমান, যুব নেতা কামরান পাশা চৌধুরী মঞ্জিল, যুব নেতা এনামুল হক সবুজ, যুবনেতা যুবনেতা মোজাম্মেল হোসেন জুয়েল ও চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জামাল উদ্দিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নাটের গুরু অপরাজনীতির হোতা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে এবং দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি জেলা নেতা ও স্থানীয় নেতাদের চরিত্র হরণ করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপরাধে অনতিবিলম্বে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলবো, বসুরহাট পৌরসভা একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়া পরেও আব্দুল কাদের মির্জা আইন অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব সম্পত্তি বানিয়ে পৌর ভবনকে সন্ত্রাসীর আস্তানা ও মিনিক্যান্টনমেন্ট হিসেবে গড়ে তুলেছে। এ অপরাধে তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণ করে পৌর ভবনে অবস্থানকারী সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হোক।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সামনে কাদের মির্জার নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তার গাড়ি ভাঙচুর ও সাথে থাকা সাবেক ছাত্রনেতা আলালও আহত হন। গুরুতর আহত বাদল ঢাকা ট্রমা সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ, মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে আসামি করায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় চার দিনেও রুজু করেনি পুলিশ।