কোম্পানীগঞ্জে হরতাল আংশিক পালিত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে পিটিয়ে জখম করার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের ডাকে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন অংশিক পালিত হয়েছে।

রোববার ভোর থেকে উপজেলার চরফকিরা, চরকাঁকড়া, রামপুর, মুছাপুর, চরএলাহী, চরহাজারী, চরপার্বতী ও সিরাজপুরে রাস্তায় গাছ কেটে, গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে ও বৈদ্যুতিক পিলার দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে হরতালের পক্ষে পিকেটেং করেন হরতাল সমর্থনকারীরা। তবে বসুরহাট পৌরসভার দোকানপাট, দুরপাল্লার গাড়ি চলাচল, ব্যাংক ও বীমা অফিস আদালত খোলা ছিল। তবে লোকজনের উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল।

এ দিকে প্রায় ৩০০ অতিরিক্ত পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হরতাল ঠেকাতে মাঠে রয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাস্তায় কেটে ফেলা গাছ ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে। এ দিকে শনিবার রাত ও রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে বাদল অনুসারীরা বিক্ষোভ করেন হরতালের পক্ষে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশের করা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বাদলের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর বসুরহাট বাজারে হামলা চালানো হয়। এতে বাদলসহ সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব আহসান আলাল আহত হন। এর প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় বাদলের অনুসরারীরা।