কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ : বাদল অনুসারী ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টেকের বাজারে পুলিশের ওপর ইট নিক্ষেপের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ১৬৩ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

শনিবার দিবাগত রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এ মামলা করেন। তবে মামলার কোনো আসামিকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) ফেরদৌসী বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারীরা উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারের বসুরহাট থেকে পেশকার যাওয়ার সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট নিক্ষেপ করলে ওসিসহ (তদন্ত) কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

পরে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুলল ইসলাম সবুজকে (৫৪) প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। নিরপরাধ কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় এ বিষয়েও সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে চরকাঁকড়া টেকের বাজারে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। টেকের বাজারে হরতালের সমর্থনে বাদলের সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বাদল-সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৪), তার ছেলে তরিকুল ইসলাম চয়ন (১৯) ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।