করোনায় কেমন আছেন কুবির মেসের ‘খালা’রা
- সাজ্জাদুল ইসলাম তানিম, কুবি সংবাদদাতা
- ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৭
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এর ব্যতিক্রম নয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও (কুবি)। গত বছরের ১৭ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে মেস ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একইসাথে খালি হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের আবাসিক মেসগুলো। শিক্ষার্থীরা মেসে না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মেসের রান্নার দায়িত্বে থাকা খালারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আসন স্বল্পতার ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস এলাকা, কোটবাড়ি ও কুমিল্লা শহরে মেস করে থাকেন। এ সকল মেসে রান্নার কাজটি করেন মূলত বুয়া বা খালারা। দীর্ঘ দিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন মেস নির্ভর এ সকল মানুষগুলোর পরিবার। উপার্জন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
ক্যাম্পাসসংলগ্ন একটি মেসের রান্নার দায়িত্বে থাকা আমেনা বেগম বলেন, ‘আমি মেসে রান্না করে সংসার চালাতাম। করোনায় ছাত্ররা বাড়ি চলে যাওয়ায় মেস বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
সংসার কিভাবে চলছে জানতে চাইলে আরেকটি মেসের রান্নার দায়িত্বে থাকা সালমা আক্তার বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে স্বামী অসুস্থ। কোনো আয় নেই। তার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। কোনো রকম বেঁচে আছি।’
কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষদের জন্য করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু বকর ছিদ্দিক মাসুম নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘লকডাউনে অনেক শ্রমজীবী, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকার এই অর্থবছরে শিল্প শ্রমিকদের জন্য করোনাকালে নাম মাত্র কিছু প্রণোদনা বরাদ্দ রাখলেও অন্য খাতের কর্মহীন মানুষের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নেই। ফলে এসব মানুষের ভোগান্তি এখন সীমাহীন।’ তিনি বলেন, সরকারের উচিত করোনায় সকল স্তরের কর্মহীন মানুষের জন্য প্রণোদনা নিয়ে পাশে দাঁড়ানো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা